স্পোর্টস ডেস্ক
২৮ ঘণ্টার মাথায় অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরে আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল। তবে ক্রিকেটের ইতিহাসে তামিম শুধু একাই নন যিনি অবসরে গিয়ে আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন।
চলুন দেখে আসি একনজরে অবসর ভেঙে ফিরে যাদের সঙ্গী হলেন তামিম।
ইমরান খান : ১৯৮৭ বিশ্বকাপের পর হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের অনুরোধে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। এরপর ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ব্যাট প্যাড তুলে রাখেন তিনি।
জাভেদ মিয়াদাঁদ : সাবেক পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাঁদও অবসর নিয়ে আবার ফিরে এসেছিলেন। অবসরের ঘোষণা দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর অনুরোধে তিনি ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ খেলে তিনি অবসরে যান।
কার্ল হুপার : ১৯৯৯ বিশ্বকাপের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কার্ল হুপার হুট করেই অবসরের ঘোষণা দিলে সেটি নিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। যেমন হুট করে অবসরে গিয়েছিলেন তিনি, তেমন হুট করেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২০০১ সালে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। একই সঙ্গে ২০০৩ বিশ্বকাপে উইন্ডিজকে নেতৃত্বও দেন।
গ্রান্ট ফ্লাওয়ার : ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে বোর্ড হিথ স্ট্রিককে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দিলে দলটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার অবসরের হুমকি দিয়েছিলেন। তাদের হুমকিতেও স্ট্রিককে পুনর্বহাল করা না হলে গ্রান্ট ফ্লাওয়ারসহ জিম্বাবুয়ের ১৩ জন ক্রিকেটার অবসর নিয়েছিলেন। তবে ছয় বছর পর ২০১০ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আবার জাতীয় দলে ফিরেছিলেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। কিন্তু অফ ফর্মে থাকায় সে বছরই পার্মানেন্ট অবসরে যান তিনি।
কেভিন পিটারসেন : টেস্টে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে আচমকাই সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন। তবে কয়েক মাস পরই আবার তিন ফরম্যাটেই ফেরেন তিনি। তবে ইসিবির (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) সঙ্গে ঝামেলায় তিনি এখনও আনুষ্ঠানিক অবসর নেননি।
শহিদ আফ্রিদি : অবসর ভেঙে ফিরে আসার বিষয়ে সবচেয়ে পরিচিত ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচবার অবসর নিয়েছেন পাকিস্তানের এ অলরাউন্ডার।
২০০৬ সালে প্রথম তিনি অবসরে যান টেস্ট থেকে, যদিও দুই সপ্তাহের মধ্যেই ফিরে আসেন। ২০১০ সালে অধিনায়ক হিসেবে একটি টেস্ট খেলে এ ফরম্যাটকে বিদায় জানান তিনি।
২০১১ বিশ্বকাপের পর কোচ ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পাঁচ মাস পর আবার ফিরে আসেন।
২০১২ সালে ওয়ানডেকে বিদায় জানিয়ে আবার ফিরে আসেন এবং ২০১৫ বিশ্বকাপের আবার ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এরপর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে থেকে পাকাপাকিভাবে বিদায় জানান তিনি।
তামিম ইকবাল : গত ৬ জুলাই অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে অবসরের পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি।