বিনোদন প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে অশ্লীল দৃশ্যের বিরুদ্ধে একাই প্রতিবাদ করেছিলেন চিত্রনায়ক মান্না। নিজে কোনো অশ্লীল দৃশ্যে শুটিং করেননি।
এ ছাড়া ‘ফায়ার’ নামে সিনেমার অর্ধেক শুটিং করে কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ছবিটিতে ডাবিংও করেননি তিনি। এতে প্রডিউসারের সঙ্গে নায়কের মনোমালিন্য হলে মান্না সিনেমাটি থেকে সরে দাঁড়ান।
মৃত্যুর আগে সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছিলেন নায়ক মান্না।
আশি ও নব্বই দশকের হাতে গোনা কিছু ছবিতে অশ্লীলতা ছিল। ১৯৯৭ সাল থেকে অশ্লীল ছবির সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০০৩ সাল থেকে টানা কয়েক বছরে বাংলা ছবিতে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা চলতে থাকে। বিরতি দিয়ে এই পরিস্থিতি চলতে থাকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে চলচ্চিত্রে ‘কাটপিসের’ পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যায়। এ কারণে চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন অনেক তারকা, নির্মাতা ও প্রযোজক। ভালো মানের ছবির সংখ্যা কমে যেতে থাকে। এই সময়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে ধ্বংসের গহ্বর থেকে একাই বেশ খানিকটা তুলে আনেন প্রয়াত নায়ক মান্না।
প্রয়াত অভিনেতা মান্নার জন্ম টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতীতে। তার আসল নাম এস এম আসলাম তালুকদার। ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি তার প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাশেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন মান্না। নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর পর পরিচালকদের চোখে একমাত্র আস্থার নাম ছিল মান্না। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় মারা যান।
মান্নার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- তওবা, পাগলী, ফুলশয্যা, জারকা, টাকা পয়সা, যন্ত্রনা, পালকি, গরীবের বউ, দুঃখিনী মা প্রভৃতি।