আমার কাগজ প্রতিবেদক
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি এই নির্বাচনের ‘শেষ দেখে ছাড়বেন’ বলে জানিয়েছেন।
আজ রোববার ইসিতে যান তিনি।
এ সময় হিরো আলম বলেন, ‘ঢাকা-১৭ আসনে জাল ভোট পড়েছে। এই ভিডিও ও ফুটেজ অমার কাছে আছে। তাই স্পিকার স্যারকে বলবো আরাফাত ভাইকে যেন শপথবাক্য না পড়ান।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু ভোটের অনিয়ম ও জাল ভোটের ফুটেজ আছে তাই হাইকোর্টে যাবো। আমি এই নির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়বো।’
হিরো আলম প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে আমি আরশাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করি। নির্বাচনের দিন ১৭ জুলাই ই-মেইল এর মাধ্যমে আপনাকে অবহিত করেছিলাম এই মর্মে যে, নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যে আমার তালিকাভুক্ত মনোনীত প্রায় ৮৮ জন এজেন্ট ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন বিকেল ৩ ঘটিকায় বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে ভোটগ্রহণ পরিদর্শনে গেলে সরকার দলীয় ক্যাডাররা আমাকে মারধর করে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনা, যা দেশ ও বিদেশের কোটি কোটি মানুষ ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছে। ওই ঘটনার পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার মনোনীত এজেন্টদের জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে ভোট গণনা করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ নির্বাচনবিধি পরিপন্থি এবং আমার ওপরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা, ব্যাপক জাল ভোট ও ভোট গণনার অনিয়ম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই আমি মনে করি এই নির্বাচন বিধিসম্মত হয়নি।’
অতএব, এই প্রহসনের নির্বাচনকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল ঘোষণা করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করছি। সেই সঙ্গে আমার প্রতিপক্ষকে নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে তার বিরুদ্ধে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।