আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গ্রিসের পর্যটন এলাকা রোডস দ্বীপের বিস্তৃত এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ও হোটেল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দেশটির ফায়ার সার্ভিস বলছে, তারা এখন সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ইউরোপজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যে এখন প্রচণ্ড বাতাসসহ দাবানলের সাথে লড়াই করছে দ্বীপটি। তবে দেশটির জলবায়ু সংকট ও নাগরিক সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এখন পর্যন্ত কারও আহত হবার ঘটনা ঘটেনি। মঙ্গলবার আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর মূলত এটি বনাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিলো। শনিবার স্লোভাকিয়া থেকে দমকল কর্মীরা এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্বীপটির যেসব এলাকা বেশি আক্রান্ত সেখান থেকে পর্যটকদের নিরাপদে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং ১৭৩ জন দমকল কর্মী এলাকাটিতে কাজ করছে। আগুনে তিনটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি তার মধ্যে আছে লায়েরমা, লারডোস ও আস্কলিপিও।
দেশজুড়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে দমকল কর্মীরা তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এক পোস্টে ফায়ার সার্ভিস জানায়,“রোডসের অবস্থা মারাত্মক ও খুবই কঠিন। প্রচণ্ড বাতাসে প্রায়শই আগুনের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। দমকল কর্মীদেরও আবার সরে গিয়ে অন্যত্র কাজ করতে হচ্ছে।” দমকল বাহিনীর ডেপুটি প্রধান লোয়ানিস আরতোফিওস বলেছেন লোকজনের ব্যবহারের জন্য ফেরি রাখা হয়েছে।
বাকী লোকজনকে একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি মেয়র। তিনি বলেন, শনিবার সকালে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পর্যটন এলাকার দিকে চলে আসে।
দ্বীপের পূর্বাঞ্চলের সৈকত এলাকা থেকে লোকজনকে তুলে নিরাপদ জায়গায় নিতে কোস্টগার্ডকে সহায়তা করেছে ব্যক্তি মালিকানাধীন নৌকাগুলোও। গ্রিক নৌবাহিনীর জাহাজ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। এলাকাটি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। একজন ব্রিটিশ পর্যটক বলেছেন তাকে তার বোন ও মেয়েসহ হোটেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে আরও শতশত লোকের সাথে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সৈকতে আটকা পড়ে আছেন তারা।