আমার কাগজ প্রতিবেদক
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের ৭২ কিলোমিটার অংশ দুই লেনে উন্নিত করার কাজ শেষে হয়েছে। আজ ওই দুই লেন খুলে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের দুই লেন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে কুমিল্লার লাকসামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ৩২১ কিলোমিটারের সম্পূর্ণটাই দুই লেন হওয়ায় আর ট্রেনকে ক্রসিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এতে এ রুটের ট্রেন চলাচলে ২০ থেকে ৪০ মিনিটের মতো সময় বাঁচবে। নতুন এ পথে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ এ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় এখন এ পথে ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা তিনগুণ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে মালবাহী কন্টেইনার চলাচলেরও সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়বে।
এদিকে ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন হয়। প্রকল্পের নির্মাণকাজের চুক্তি হয় ২০১৬ সালের ১৫ জুন। ওই বছরের ১ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে লাকসাম পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশ ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও দুই লেন নির্মাণ ও বিভিন্ন রেলস্টেশনের উন্নয়ন প্রকল্পের পুরো টাকার মধ্যে এডিবি ঋণ দিচ্ছে ৪ হাজার ১১৮ কোটি ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ১ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক। আর সরকারের অর্থায়ন থাকছে ১ হাজার ২৬ কোটি ৬৬ লাখ ২২ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ দুই লেনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশনের মাস্টার মো. শফিকুর রহমান জানান, সিঙ্গেল লাইনের জন্য একটি ট্রেনকে স্টেশনের আউটারে বসিয়ে আরেকটি ট্রেন প্রবেশ করানো হতো। এখন আর কোনো ট্রেনের জন্য, কোনো ট্রেনকে বসিয়ে রাখতে হবে না। ক্রসিং না থাকায় যাত্রীদের সময় বাঁচবে, দুর্ভোগ কমবে।
আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, ’ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের পুরো অংশ দুই লেন হওয়ায় যাত্রীরা যেমন সুবিধা পাবেন তেমনি রেলেরও আয় বাড়বে। বর্তমানের চেয়ে আরও বেশি পণ্য পরিবহন করা যাবে ট্রেনে।’