আমার কাগজ ডেস্ক
‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন?’- বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমকে নিয়ে এমন মন্তব্যের জের ধরে দুঃখ প্রকাশ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিইসির দুঃখ প্রকাশের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে দলটির পক্ষ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মানহানির দাবি ও সিইসিকে দুঃখ প্রকাশ করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তার পরই সিইসি দুঃখ প্রকাশ করলেন।
অবশ্য সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেছেন যে, গণমাধ্যমে তার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার প্রার্থীর রক্তাক্ত হওয়াটা ‘আপেক্ষিক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি বলেছিলেন, বরিশালে মেয়র প্রার্থী রক্তাক্ত হয়েছেন কিনা- আমরা জানি না। যতটুকু জেনেছি কেউ পেছন থেকে ওনাকে ঘুষি মেরেছে। তবে এর জন্য ভোট বাধাগ্রস্ত হয়নি।
একটি দলের মেয়র প্রার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে, তাহলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ বলা যায় কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রক্তাক্ত, এখন সব কিছু তো আপেক্ষিক। উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা যেটা দেখেছি, উনার কিন্তু রক্তক্ষরণ দেখিনি। যতটা শুনেছি উনাকে পেছন থেকে কেউ ঘুষি মেরেছে। উনার বক্তব্যও শুনেছি। উনি বলেছেন, যে ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে খবর নেওয়ার চেষ্টা করেছি, ভোট কার্যক্রম ওই কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে কিনা।
গত ১২ জুন সোমবার খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে কমিশনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমরা যে খবর পেয়েছি, ভোট কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়নি এবং উনাকে যে আহত করা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং যে দায়ী তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করার পর পুলিশ পদক্ষেপ নিয়েছে ইতোমধ্যে। আমরা আরও নির্ভরযোগ্য তথ্য পরবর্তীতে হয়ত পাব।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তাৎক্ষণিক কথা হয়েছে। ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা সুস্পষ্ট তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারব না। ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমরা দেখেছি, শুনেছি যে হাতপাখার প্রার্থীকে খানিকটা আঘাত করা হয়েছে। সেটা উত্তেজনার সৃষ্টি করেছিল। সে উত্তেজনা হয়ত এখনো পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। আমাদের এখান থেকে বলা হয়েছে যে, নির্বাচন পরবর্তী যেন কোনো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করা না হয়। কারণ ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেও অনেক সময় এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। সে প্রস্তুতি আমাদের আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে বলা হয়েছে। আশা করি, এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।