আমার কাগজ ডেস্ক
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…’ ধ্বনিতে মুখরিত কাবা চত্বর। বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলমানরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছেন মক্কায়।
মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। রোববার (২৫ জুন) ফজরের পর ১৪৩০ হিজরি বর্ষের হজের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
শয়তানকে উদ্দেশ্য করে পাথর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে এবারের হজ। এ বছর বিশ্বের ১৬০ দেশের ২০ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করবেন।
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৮ হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। শনিবার (২৪ জুন) শেষ ফ্লাইটে সৌদিতে বাকি হজযাত্রীরা পৌঁছেছেন।
সৌদিতে এ বছর ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ২৮ জুন সৌদি আরবে ঈদুল আজহা। আর বাংলাদেশে ঈদুল আজহা ২৯ জুন। এবার বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশের ২০ লাখের অধিক মানুষ পবিত্র হজ পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া।
তিনি বলেন, এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজ যাত্রীদের সেবা দেবেন। হজ পালনে আল্লাহর অতিথিদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে সরকার ও সৌদির জনগণ অংশ নেবে।
চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি গেছেন এক লাখ ২২ হাজার ৮৩৩ জন বাংলাদেশি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার জন্য সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ দফা সময় বাড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত কোটা পূরণ করা যায়নি। সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্যাটাগরিতে মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।
এর মধ্যে হজযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে গেছেন দুই হাজার ৭১৫ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ ও বেসরকারিভাবে থাকবেন দুই হাজার ৪৮৭ জন। হজযাত্রী ও গাইডসহ মোট যাত্রী এক লাখ ২২ হাজার ৫৫৮ জন। ওই হিসাবে চার হাজার ৯৯৭টি কোটা ফাঁকা রয়েছে। এ ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেয়া হয়েছে।