
বাজিতপুর প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাশিদ বিন এনাম-এর বিরুদ্ধে ঝটিকা মানববন্ধনের প্রতিবাদে পাল্টা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাজিতপুর উপজেলার সাধারণ জনগণের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগের প্রতিবাদে পাল্টা মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় বাজিতপুর বাজার আলোছায়া সিনেমা হল মোড়ে অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাজিতপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহিন আলম, বাজিতপুর পৌর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, পৌর ছাত্রদল আহ্বায়ক সাকিম আহমেদ, বাজিতপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদল আহ্বায়ক সিমন আহমেদ রিয়াদ, উপজেলা তরুণ দলের নাজিরুল ইসলাম জয়, মোনিয়া আক্তার, কৈলাগ ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা আকরাম হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইউএনও ফারাশিদ বিন এনাম ৫ই আগস্টের পর থেকে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দরভাবে বজায় রেখে চলেছেন। কৈলাগ ও পৌরসভার মাঝে দীর্ঘদিনের যে দ্বন্দ্ব সংঘাত তা নিরসন করেছেন। গত রোজার ঈদের সময়ে ঐ সংঘাত সারা রাত ধরে নিরসন না করলে অনেক প্রাণহানি ও বাজারের বিশাল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা ছিলো। এছাড়াও রমজান মাসসহ বিভিন্ন সময়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি বাজিতপুরের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বাজিতপুর সাধারণ গ্রন্থাগার জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া ও সকলের জন্য উন্মুক্ত সাইবার জোন তৈরী তাঁর উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের একটি।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, শিক্ষক আব্দুল মান্নান স্বপন গতকাল দুই মিনিটের স্থায়ী একটি ঝটিকা মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন। অনেককে মিথ্যা বলে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছেন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাশিদ বিন এনাম আমাদের যেকোনো সমস্যার কথা শুনেন এবং সেটা তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করেন।
মানববন্ধনে একজন শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করেন, আব্দুল মান্নান স্বপনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আমার মেয়ের জন্য টিসি আনতে গেলে তিনি খুব বাজে ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় আমার মেয়েকে একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পেরেছি।