
আমার কাগজ ডেস্ক
মানাসলু ৮১৬৩ মিটার সামিট সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে তৌফিক আহমেদ তমাল। আজ ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি মানাসলু ৮১৬৩ মিটার সামিট সম্পূর্ণ করেন। পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম পর্বত মানাসলু (৮১৬৩ মিটার) জয়ের লক্ষ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করেন তমাল।
৪০ দিনের মধ্যে তিনি নেপালের পশ্চিম-মধ্য হিমালয়ের মানসিরি হিমাল রেঞ্জের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠার চেষ্টা করবেন বলে জানালেও তিনি ২৫ দিনেই তা সম্পন্ন করলেন।
তমালের উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে রয়েছে, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শীতকালীন অভিযানে থার্পু চুল্লি জয়, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ভাগীরথী-২ (৬৫১২ মিটার) জয়। এছাড়া গত বছর বিশ্বের অন্যতম কঠিন শৃঙ্গ মাউন্ট আমা দাবলাম (৬৮১৪ মিটার) জয় করেন তিনি।
এরইমধ্যে তৌফিক আহমেদ তমালের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার। শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তমালকে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া হয়।
তমালকে শুভকামনা জানিয়ে নিশাত মজুমদার বলেছিলেন, মানাসলু অনেক কঠিন একটি জার্নি। এখন পর্যন্ত অনেকেই চেষ্টা করেছে তবে সফল হতে পারেনি। তমালের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
নিজস্ব অর্থায়নে এ অভিযানে নেমেছেন তমাল। তিনি গত ১৪ বছর ধরে দেশবিদেশে নিয়মিত ট্রেকিং ও উচ্চ পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত। ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে তিনি মৌলিক ও উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এরইমধ্যে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মিটারের সাতটি পর্বত ও ৬৫০০ মিটার উঁচু দুটি পর্বত জয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে রয়েছে, প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে শীতকালীন অভিযানে থার্পু চুল্লি জয়, প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ভাগীরথী-২ (৬৫১২ মিটার) জয়। এছাড়া গত বছর বিশ্বের অন্যতম কঠিন শৃঙ্গ মাউন্ট আমা দাবলাম (৬৮১৪ মিটার) জয় করেন তমাল।
তৌফিক আহমেদের বেড়ে ওঠা কুমিল্লায়। কলেজে পড়ার সময় পাহাড়ের প্রতি টান অনুভব করলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকেই আরেক ঠিকানা বানান তিনি। ২০১৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু পাহাড়ের ডাকে চাকরি ছেড়েছেন। পেশা হিসেবে ভ্রমণ আয়োজন ও পরিচালনাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন। নেপালের এভারেস্ট বেজক্যাম্প, অন্নপূর্ণা বেজক্যাম্পসহ বিভিন্ন গন্তব্যে গাইড হিসেবে বাংলাদেশীদের নিয়ে যান তিনি। এছাড়া, দেশে ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন তৌফিক।