
আমার কাগজ ডেস্ক
সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য অফিস ‘নতুন যুগে নারীর ব্যাপক উন্নয়নের প্রচারে চীনের অনুশীলন এবং অর্জন’ শীর্ষক একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। ২২ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুও চিয়া খুন এই শ্বেতপত্র সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ৩০ বছর আগে, বেইজিংয়ে চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বেইজিং বিশ্ব সম্মেলনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং ‘বেইজিং ঘোষণাপত্র’ ও ‘কর্মপরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের প্রচারণা চালাতে, চীন সরকার এবং জাতিসংঘ নারী কর্মসূচি ১০ বছর আগে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নারী বিষয়ক বিশ্বব্যাপী শীর্ষ সম্মেলনের যৌথ আয়োজন করেছিল। পাঁচ বছর আগে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২০২৫ সালে আরেকটি বিশ্ব নারী শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তাব করেছিলেন।
বিশ্বের আওতা থেকে দেখা যায়, ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য পাঁচ বছর বাকি আছে। বিশ্বব্যাপী নারীদের লক্ষ্য ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ এবং বিশাল সুযোগ উভয়ের মুখোমুখি। লিঙ্গ সমতা এবং নারীদের সর্বাত্মক উন্নয়নের প্রচারে, চীন সমর্থক এবং অনুশীলনকারী। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, চীনের নারীদের লক্ষ্য বিকশিত হয়েছে, ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে এবং সকল দিকে অগ্রগতি করেছে।
বেইজিং বিশ্ব নারী সম্মেলনের ৩০তম বার্ষিকীতে, চীন শিগগিরই বেইজিংয়ে বিশ্ব নারী শীর্ষসম্মেলনের আয়োজন করবে। বেইজিং ঘোষণাপত্র এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের প্রধান সাফল্যগুলো ব্যাপকভাবে তুলে ধরার জন্য আমরা এই শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছি। এটি নতুন যুগে লিঙ্গ সমতা এবং নারীর সর্বাত্মক উন্নয়নে চীনা নারীদের ধারণা, নীতি, উদ্ভাবনী অনুশীলন এবং অনুকরণীয় মনোভাবকে পদ্ধতিগতভাবে উপস্থাপন করে, চীনা জ্ঞানের অবদান রাখে এবং বিশ্বব্যাপী নারীর স্বার্থে চীনা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়। নারীর সর্বাত্মক উন্নয়নের নতুন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী নারীর স্বার্থের উন্নয়নে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে চীন বিশ্বের সকল দেশের সাথে একসাথে কাজ করতে ইচ্ছুক বলে মুখপাত্র উল্লেখ করেন।
সূত্র:লিলি-হাশিম-তুহিনা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।