
সাইফুল্লাহ মোঃ খালিদ রাসেল
আন্তর্জাতিক ভাবে মানব পাচারকারীরা বেশ সক্রিয়। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। উন্নত দেশে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে খুব সহজেই সাধারণ মানুষকে আয়ত্তে আনে এই চক্রের সদস্যরা। তবে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যদের ধরতে সিআইডির অভিযান এবং তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। হেডকোয়ার্টার সিআইডির এসপি মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা যোগদান করার পর থেকে অভিযানের গতি আরো তরান্বিত হয়েছে।
গোপন সূত্র, নিজেদের বুদ্ধিমত্তা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীর সাথে জড়িত সক্রিয় ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে সিআইডি। নৌ-রুট ব্যবহার করেই বেশিরভাগ মানব পাচার করা হচ্ছে। সেই দিক বিবেচনা করেই নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে সিআইডি। বর্তমানে মানব পাচারের বিষয়ে ১৫২ টি মামলা রয়েছে সিআইডির হাতে এবং জানা যায়, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এই চক্রের কোন না কোন তথ্য সিআইডি সংগ্রহ করছে। মানব পাচার ঠেকাতে সিআইডির ভূমিকা অবর্ণনীয়। সিআইডি হেডকোয়ার্টারের সিরিয়াস অর্গানাইজড এর এস এসপি মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, সাধারণ মানুষের দরিদ্রতা এবং অসহায়ত্বকে পুঁজি করেই এই চক্রটি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। উন্নত জীবনের লোভে তারা জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ছে আর এ সুযোগটিই কাজে লাগাচ্ছে মানব পাচারকারীরা। তবে সিআইডি ও তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীর ৩ জন সক্রিয় সদস্যকে আইননের আওতায় আনা হয়েছে এবং অনেককেই নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে প্রশাসনের তৎপরতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতার মাধ্যমেই এইচক্রকে দমন এবং নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব। উল্লেখ্য যে, মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা সিএমপি বন্দর জোনে ডিসি থাকাকালীন অবস্থায়ও মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ দমনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অপরাধ নির্মূলে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন।