
আমার কাগজ ডেস্ক
১২৩টি দেশ ও অঞ্চল থেকে ১১০০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা এবং শিল্প-বাণিজ্যিক উদ্যোগের অংশগ্রহণ; নতুন উৎপাদনশীলতা প্রদর্শনী এলাকায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি; এবং বিভিন্ন ধরনের ১১৫৪টি বিনিয়োগ প্রকল্প স্বাক্ষরিত, যার পরিকল্পিত মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৬৪৪ বিলিয়ন ইউয়ান এইসব পরিসংখ্যানের মধ্য দিয়ে ৮ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২৫তম চীন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য মেলা বিশ্বের জন্য চীনকে পর্যবেক্ষণ এবং বিনিয়োগের সুযোগ খোঁজার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।
চীনের একমাত্র জাতীয় পর্যায়ের বিনিয়োগ-কেন্দ্রিক মেলা হিসেবে, এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ছিল: ‘চীনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে, ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করুন।’ এই বার্তাটি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জোরালোভাবে সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদ এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে, তারা বিশ্বাস করে যে চীনে বিনিয়োগ করা মানেই ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করা।
বর্তমানে, চীনের বিশাল বাজার- রূপান্তর এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। এবারের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য মেলায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রায়শই চীনা বাজারকে একটি ‘অপরিহার্য পছন্দ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য অর্জনের জন্য উদ্ভাবন অপরিহার্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিদেশি কোম্পানিগুলো চীনে নতুন এবং উচ্চমানের উৎপাদন খাতে তাদের বিনিয়োগ জোরদার করেছে, যা চীনা ব্যবসাগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক শক্তিশালী একটি উদ্ভাবনী ক্ষেত্র তৈরি করেছে। ‘দীর্ঘমেয়াদী দৌড়বিদ’ হতে হলে দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিও থাকতে হবে। বিদেশি কোম্পানির নির্বাহীদের সাথে কথা বলার সময়, তারা প্রায়শই একটি শব্দ উল্লেখ করেছেন—‘নিশ্চয়তা’। চীনের উন্মুক্তকরণের অব্যাহত সম্প্রসারণ তাদের ব্যবসায়িক উন্নয়নে নিশ্চয়তা প্রদান করছে। এ বছর, বিশেষ করে, চীনের পরিষেবা খাতের দ্রুত উন্মুক্তকরণ জোরদার হয়েছে, যা বিদেশি কোম্পানিগুলোর উন্নয়নের জন্য নতুন প্রেরণা জোগাচ্ছে।
সূত্র:শুয়েই-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।