
আমার কাগজ প্রতিবেদক
ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা প্রতিষ্ঠানটির আয়া মাসুমা মারা গেছেন।
শনিবার সকাল সোয়া ১০ টায় ৩৮ বছর বয়সী মাসুমা মারা যান বলে জানিয়েছেন জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, মাসুমা শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
এ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ জনে, আর সবমিলিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো ৩৫ জনের।
শনিবার সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারিফ ফারহান মারা যাওয়ার তথ্য দিয়েছিলেন ডা. শাওন বিন রহমান। এর ঘণ্টাখানেক পরেই মাসুমার মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন তিনি।
মাসুমার স্বামী সেলিম জানিয়েছিলেন, মাইলস্টোন স্কুলের আয়ার কাজ করতেন তার স্ত্রী। তাদের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তুরাগের নয়ানগর এলাকায় থাকতেন মাসুমা-সেলিম দম্পতি।
বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন চিকিৎসাধীন আছে ৩৮জন, যাদের মধ্যে ৩ জন এখনও আইসিইউতে ‘আশঙ্কাজনক’ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাওন বিন রহমান।
সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনের মুখে বিধ্বস্ত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই শিশু।
দগ্ধ ও আহত ৪৮ জন এখনো জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।