
নিকলী প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা হতে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে মাদরাসায় যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদীতে নৌকা ডুবে ৯ জন শিক্ষার্থীর মাঝে তিনজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়।
জানা গেছে আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলো- পাকুন্দিয়া উপজেলার চর আলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে শাপলা (১৫), হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৭) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা সবাই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
আজ দুপুর বেলা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল একজন ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে ৯ জন শিক্ষার্থী একটি ছোট নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদরাসায় যাচ্ছিল। দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে নৌকাটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তিনজন নিখোঁজ হয়। ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দ্রুত উদ্ধার অভিযানে নামে। দুপুর নাগাদ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থী হলো- পাকুন্দিয়ার চর আলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে শাপলা (১৫)। সে বিরইন নদীপাড় দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
ঘটনাস্থল থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, দুঃখজনক এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুইজন নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন জানান, খবর পাওয়ার পরপরই ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
চর আলগী গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আশরাফ শান্ত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চর অঞ্চলের মানুষ একটি সেতুর জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেই দাবি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। প্রতিবছরই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটছে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাস্থলটি ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত হলেও নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়।