
গাজীপুর প্রতিনিধি
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ মহাসড়কে বাড়ছে। আজ বুধবার সকাল
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। আজ বুধবার সকাল থেকেই গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ও চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে বাড়িমুখী মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। গাজীপুরে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানার মধ্যে আজ ৪০ শতাংশ কারখানা ছুটি হওয়ায় কর্মীরা বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। বিকেলের দিকে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিবহনমালিক ও কারখানা সূত্রে জানা গেছে, তিন ধাপে পোশাক কারখানায় ছুটি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ছুটি পেয়েছে ১০ শতাংশ কারখানা, বুধবার ছুটিতে গেছে ৪০ শতাংশ এবং বৃহস্পতিবার আরও ৫০ শতাংশ কারখানায় ছুটি শুরু হবে। ফলে আজ বিকেল থেকেই সড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চন্দ্রা ত্রিমোড়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের ভিড় আগের তুলনায় বেড়েছে। অনেকেই হাতে ব্যাগ বা মাথায় বস্তা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন পছন্দের যানবাহনের জন্য। পরিবহনগুলোতে কিছুটা বেশি ভাড়া নেওয়া হলেও যাত্রীরা দর-কষাকষি করে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন।
একতা পরিবহনের চালকের সহকারী মো. শাহিন মিয়া বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেড়েছে। দুপুরের পর চাপ আরও বাড়বে।
বগুড়াগামী যাত্রী কাওসার আহমেদ বলেন, ‘১০ দিনের ছুটি পেয়েছি। নাইট শিফট করে রওনা হয়েছি। রাস্তার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে আরামে বাড়ি পৌঁছাতে পারব।’
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, যানজট যেন না হয়, সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে কিছুটা চাপ থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।