
আমার কগাজ প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদুজ্জামান সিয়ামকে বাংলাদেশের পরবর্তী পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রদূত সিয়ামকে পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ অবস্থায় মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ওয়াশিংটনে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের কথা উঠেছে। ওয়াশিংটনের কূটনীতিক মহলও মুশফিককে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ওয়াশিংটনে পাওয়ার আশা করেছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনিয়র কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলয়েচ মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিককে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রদূত সিয়ামকে পররাষ্ট্র সচিব নিয়োগ দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের একজন নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে’। রাষ্ট্রদূত মুশফিককে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ একটি সুন্দর সমাধান হবে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিককে ওয়াশিংটনে স্থানান্তর করা একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত হবে। যেখানে তিনি সুপরিচিত এবং অনেক বেশি শ্রদ্ধার পাত্র’।
বাংলাদেশের মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা নিয়ে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক এবং রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক জন ড্যানিলয়েচ রাষ্ট্রদূত মুশফিকের ভূয়সী প্রশংসা করে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেই টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘পেশাদার কূটনীতিক না হয়েও চমৎকার কাজ করা যায় তার অনন্য দৃষ্টান্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিক’।
মুশফিককে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেতে আলোচনা উঠেছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝেও। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটিও তাকে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পেতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রবাসী সাংবাদিক এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করে একটি পোস্ট করেছিলেন। তবে রাষ্ট্রদূত মুশফিক সেখানে কমেন্ট করে নিজের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আপনাদের প্রত্যাশার জন্য ধন্যবাদ। তবে আমি আগ্রহী নই’।
উল্লেখ্য, মুশফিক বর্তমানে মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। মেক্সিকোর বাজারে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ওষুধ সরবরাহের কথা রয়েছে।
মুশফিক বাংলাদেশের একমাত্র স্থায়ী সংবাদদাতা হিসেবে জাতিসংঘে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে হোয়াইট হাউস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও পেন্টাগনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন। এর আগে তিনি কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবেও ঢাকায় দায়িত্ব পালন করেছেন। কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশ্বব্যাংক এবং বৃটেনের প্রেস্টিজিয়াস দ্য টাইমস ও সানডে টাইমসে।