
সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার বাসায়ও হামলা হয়েছে।
বুধবার সকালে নগরে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিলের পর বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার দিকে নগরের পাঠানটুলা এলাকায় আনোয়ারুজ্জামানের বাসায় অন্তত – ৮০টি মোটরসাইকেলে করে শতাধিক তরুণ এ হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাসায় ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটও করে। বাসায় আনোয়ারুজ্জামানের পরিবারের কেউ থাকেন না। দুজন তা দেখাশোনা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। কে বা কারা এটা করেছে, তা জানার চেষ্টা করছি।’
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী রাতে বলেন, ‘আমি শ্রীমঙ্গল ছিলাম। একটু আগে ফিরেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে ছাত্রলীগ এমন ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্রদলের ওপর দোষ চাপিয়েছে, এমন নজিরও আছে। যদি এমন হামলা ভাঙচুর হয়, এটা সমর্থনযোগ্য নয়।’
এদিকে শুভেচ্ছা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরীর নাদেল বাসভবনের ‘ফ্ল্যাট অ্যাপার্টমেন্টের কার্যালয়’ এবং মেজরটিলা এলাকায় অবস্থিত ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহেল আহমদের বাসায় হামলা হয়। সন্ধ্যা সাতটায় রুহেলের বাসায় হামলার সময় তাঁর মা ও বোন বাসায় ছিলেন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাড়ির ড্রইং রুম ঘর সহ সব কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। বিভিন্ন আসবাবের কাচ ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রয়েছে। অনেক আসবাবপত্র ওলটপালট অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আলমারি, চেয়ার-টেবিল, ফ্রিজ, এসিও, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি সূত্র দাবি করেছে, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ছাত্রলীগের ব্যানারে ৩০- ৪০ জন তরুণ নগরের ধোপাদিঘিরপাড় এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। এতে ছাত্রদলের কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালান। প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তাঁরা হামলায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অংশ নিতে দেখেছেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের মিছিলের ঘটনায় পরবর্তীতে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।ভাঙচুর হওয়া আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসভবন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকায়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ওই তিন নেতার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে।, আনোয়ারুজ্জামান ৫ আগস্টের পরপর লন্ডন চলে যান। অন্যদিকে শফিউল আলম চৌধুরী ভারতে রয়েছেন। রুহেলও দেশের বাইরে রয়েছেন।