
আলি জামশেদ
মানব পাচারকারী দালালরা আতঙ্কের কারণ। অবৈধ দালালদের খপ্পরে অনেকের স্বপ্ন ধ্বংস হয়েছে, অনেক পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। অনেকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে প্রতারণার শিকার হয়ে এমনকি মুক্তিপণের মাধ্যমে।
অনেকের জীবনও অকালে হারিয়েছে। অতীতের ন্যায় এখনো দালালদের প্রলোভনে স্থল এবং জলপথে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অসংখ্য তরুণ ও যুবক। ফেরানো যাচ্ছে না কোনভাবেই। এসব প্রতারণার জন্যে দায়ী অনেকটা সরকারিভাবে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুবিধা বঞ্চিতের বিষয়, তদারকির ঘাটতি, বেপোরোয়া ভ্রাম্যমান দালালদের প্রলোভন ও প্রতারণা। এছাড়াও দায়ী অভিভাবকের অসচেতনতা আর লোভনীয় আচরণ। অবৈধ দালালদের বিরুদ্ধে আইনি তৎপরতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলেও সচেতন মহল মনে করেন। যে কারণে অল্প টাকার বিনিময়ে ইউরোপে লোক পাঠানোর নামে পুরুষের পাশাপাশি কিশোরগঞ্জে নারীও মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে বলে অভিযোগের সত্যতা মিলে। ইউরোপের দেশ ইতালির প্রলোভনে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়া এক নারীকে আটক করে গ্রামের লোকজন। এক পর্যায়ে ছাড়িয়ে নেন স্থানীয় স্বজনরা। এভাবেই সুযোগ পেয়ে বসে প্রতারকরা।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে অতীতের ন্যায় এখনো ভ‚মধ্যসাগরে দিয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে তরুণ ও যুবকরা। ২০০৫ সালের ফেব্রæয়ারির ২২ ও ২৩ তারিখে নিকলী ধারীশ্বর গ্রামের সৈয়দ মোসাদ্দেক ও সহোদর মুসান্নেফের পর্যায়ক্রমে মৃত্যুর লোমহর্ষক ঘটনা আজও স্বজন এবং এলাকাবাসীকে কাঁদায়।
২০২৩ সালের ২৩মে ভৈরব কালিপুরের আব্দুর রহমান, আনোয়ার ও তাদের ৭ স্বজনসহ নরসিংদীর বাহর নগরের ওমর ফারুক মবিনের সাথে বুটে করে রায়পুরার সেলিম দালালের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৩৬ জন যুবক ইতালির উদ্দেশ্যে লিবিয়ার বেনগাজি থেকে পাড়ি জমানোর পরে সাগরের বুকে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারি এখনো থেমে নেই। আজো তাদের স্বজনরা অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে। সাগর পাড়ি দেয়ার আগ মুহ‚র্তের ভিডিও ফোনের স্মৃতি আজও তাদের কাঁদায় বলে জানান।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কিশোরগঞ্জের নিকলীর উপজেলার সাজনপুর বাগ পাড়ার রসম উদ্দিনের ছেলে আশরাফুলের মতো অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পথে লিবিয়া থেকে পাড়ি দিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় ইতালির সীমানায় পৌঁছে। সীমানা থেকে বাকীরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ইতালির পুলিশের হাতে ধরা পড়ে আশরাফূল ইসলামসহ অন্তত ৫ জন যুবক। এছাড়াও খবর মিলছে ইউরোপের সংলগ্ন দেশ সার্ভিয়া, আলবেনিয়া, মেসিডোনিয়া, কসোভোসহ ইউরোপের কাছাকাছি দেশে কাজের ভিসায় লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে ইউরোপীয় অন্তর্ভুক্ত দেশে অবৈধভাবে পাঠানোর নামেও চলছে ভয়াবহ প্রতারণা। এদের মধ্যে অনেকে প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরছে। অনেককে দিতে হচ্ছে মুক্তিপণ। জীবন ঝুঁকি নিয়ে কেহ কেহ পৌঁছে গেলেও হয়রানিতে আছে। কেউবা আবার সাময়িক সুবিধায় রয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে অধিকাংশরাই দালালদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ সরেজমিনে।
গত ২৬ ডিসেম্বর কটিয়াদী এলাকার কাওনা মামুদপুর গ্রামের মোমেনা নামের এক ৫০ উর্ধ্ব নারী স্থল পথে ভারত দিয়ে নিকলীর জারইতলার রোদার পুড্ডা এলাকার বেশ কতক যুবককে ১ লক্ষ ৬০ টাকার বিনিময়ে ইতালি নিবে বলে চুক্তি করে। এদের মধ্যে আবদুল মমিনের ছেলে তড়িঘড়ি করে গরু বিক্রি করে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা যোগাড় করে। অপর দিকে একই গ্রামের ইফতেখারের মা শাহিনুর স্বর্ণ বিক্রি করে টাকা রেডি রাখে। এই অবস্থায় ইফতেখারের বাবা মিজানের সন্দেহ সৃষ্টি হলে দেড় লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রতারক নারী তখন ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে নিতে রাজি হয়ে যায়। বাকী টাকা পৌছার পরে দিলেও চলবে বলে জানান। টাকা দেয়ার আগে যাচাইয়ের লক্ষ্যে তিনি কয়েকজন লোক ডেকে আনলে এই প্রতারক নারীর আসল চরিত্র ফূটে উঠে। ঐ নারী লাহুন্দ এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে মোস্তাকিমকেও একই প্রলোভনে ফেলে ঘুরাতে থাকে বলে সরেজমিনে তখন উঠে আসে। এছাড়াও বহু যুবক টাকা দিয়ে তার প্রতারণার জালে আটকা পড়ে আছে বলেও জানা গেছে। তখন শতশত লোকজনও তাকে ঘিরে ধরে প্রতারক প্রতারক বলে চিৎকারে। কৌশলে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে ছাড়া পান প্রতারক নারী। ভিডিওতে নারীকে বলতে শোনা গেছে লোক পাঠানোর চুক্তির বিষয়ে। ঘটনার পরপরই ২৬ ডিসেম্বর সকালের দিকে প্রতারক নারীকে তার ০১৭৫৫৯১৫৯০৯ এ নাম্বারে ফোন করে ইউরোপে কিভাবে ভারত দিয়ে পাঠান এমন জবাব সাংবাদিক পরিচয়ে জানতে চাইলে এক পর্যায়ে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।
দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির গতি ত্বরান্বিত রাখার পিছনে অন্যতম অবদান রেমিট্যান্স যোদ্ধার। পরিবারের অভাব ঘোচাতে আর সচ্ছলতা ফেরানোর আশায় বেকারত্বের দায় মুক্তির জন্যে যারা সঙ্গী স্বজন ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায় তারাই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। দিন দিন দেশে বাড়ছে রেমিট্যান্স যোদ্ধার পরিমাণ, বাড়ছে দালালদের দ্বারা প্রতারিতের ঘটনাও। বিচার বহির্ভূত দালালি পেশা যেনো এখন অনেকটা বৈধতার স্থান করে নিয়েছে এই দেশে। সুযোগে বাড়ছে প্রতারিতের ঘটনাও। জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর শিক্ষার তুলনায় বেকারত্ব দূরীকরণের এই পথে প্রধান বাধা এখন অবৈধ দালাল আর প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য। প্রকৃতপক্ষে এটাই রেমিট্যান্স বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশ গমনেচ্ছুরা বিপদগামী হচ্ছে অধিকাংশই ভ্রাম্যমান অবৈধ দালালদের দ্বারা। সহজে মোটা অংকের টাকার মালিক বনে যাওয়ার সহজ সুযোগে আর আইনি ফাঁকফক্করের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের বেশ কিছু জায়গায় নারী-পুরুষ যৌথভাবে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতারিত হওয়ার খবরেও থেমে নেই বহির্গমন ইচ্ছুকদের উৎসাহের পরিমাণ। সাধারণের ভাষ্য অধিক পরিমাণে আগ্রহ বেড়ে যাবে যদি স্থানীয়ভাবে দালাল নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকরী হয়। দেশে যথেষ্ট আইন থাকলেও দালালদের বিরুদ্ধে আইন অনেকটা অকার্যকর এমন মন্তব্য অসংখ্য ভুক্তভোগীর। যদিও ক্ষোভ ও আফসোসের অভিযোগের ভাষ্য এমনটি। তবে আইনি কার্যক্রমের তৎপরতা সঠিক থাকলে বহির্গমন ইচ্ছুকদের মাঝে ফিরবে স্বস্তি এমন আশাও ব্যক্ত করেন সাধারণ জনগণ।
তথ্য ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতে জানা গেছে মানব পাচারে বাংলাদেশের দালালরা রয়েছে অনেকটা তুঙ্গে। গ্রাম-গঞ্জের আনাচে কানাচে সহজেই মিলছে মানব দালাল। অসাধুদের কাছে কোটিপতি হওয়ার সহজ রাস্তা যেনো এই দালালিপণা। দালালরা তুলনামূলক চালাক চতুর ও কৌশলী হয়ে থাকে। সুকৌশলে গড়ে তোলে তারা শক্তিশালী বলয় ও চক্র। যে কারণে প্রতারিতরা খুব সহজে দালালের কাছে থেকে টাকা ফেরত নিতে পারে না বলে জানা গেছে। অসংখ্য অভিযোগের বাস্তবতা ফুটে উঠে কিশোরগঞ্জের নিকলী, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইনসহ আশেপাশের থানাতে খোঁজ নিলে। সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্বে থাকারাও এর বাস্তবতা স্বীকার করেন। তবে যে পরিমানে প্রতারিত হয় অভিযোগ তার তুলনায় অতি নগন্য। বিচারের আশায় অনেকে বিভিন্ন মহলের ধারে ধারে ঘুরছে। স্থানীয় বিচার বহির্ভূত আদালতেরও শরণাপন্ন হচ্ছেন অনেকে।
সরেজমিনে নিকলীর জারইতলা ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শতশত দালাল চক্রাকারে কাজ করে থাকেন ছোট-বড় পরিসরে। সাজনপুরের ছোট একটি গ্রামে কয়েক ডজন দালাল কাজ করে বলে জানা গেছে। মনে হয় যেনো এটি দালালি গ্রাম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এদের কোন লাইসেন্স নেই, নেই কোন অফিস, ভ্রাম্যমান এসব দালালরা উচ্চ বেতনের প্রলোভনে ফেলে বহু যুবকের স্বপ্ন ধ্বংস করে চলেছে। দালাল খপ্পরে অনেক সময়ে মুক্তিপণ দিয়েও অনেকে দেশে ফিরেছেন। কখনো কখনো শোনা যায় অকালে জীবন হারাতে। মুষ্টিমেয় কিছু লোককে মোটামুটি অবস্থানে পাঠাতে সক্ষম হলেও সেই দিকটা তুলে ধরে প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছেন। অথচ প্রতি নিয়তই তাদের প্রলোভনের মোহে প্রতারিত হওয়ার টুকিটাকি অভিযোগ মিলছে মাঠ পর্যায়ে। হচ্ছে একের পর এক সালিশ বৈঠকও। অনেকে বিদেশ থেকেও সুবিধা বঞ্চিত হয়ে অভিযোগ তুলছে, অনেকে আবার দেশে ফিরেও অভিযোগ দিচ্ছে। প্রতারিত হওয়ার পরেও অনেকে আবার অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে পাড়ি জমাচ্ছে। কারো স্বপ্ন ধ্বংসে চলে গেছে কেউবা হন্যে হয়ে ঘুরছে ধারে ধারে।
গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের ভাষ্য: দালাল ছাড়া বিদেশে যাওয়া যায় না। সরকার নির্ধারিত টাকার মধ্যে কখনো ভালো কাজের ভিসা মিলে না অফিসগুলোতে। সেখানেও বিশাল সিন্ডিকেট। দালাল নিয়ন্ত্রণে আসলে একদিকে কমে আসবে প্রতারণা অপরদিকে বাড়বে রেমিট্যান্স যোদ্ধার সংখ্যা। সরকারিভাবে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিলে, দুর্নীতি কমে এলে, জনগণের আস্থার ক্ষেত্র তৈরি হলে বহুগুণে বেড়ে যাবে রেমিট্যান্স যোদ্ধার সংখ্যা। কমে আসবে বেকারত্ব।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি শতভাগ আস্থা ও ভরসার ক্ষেত্র তৈরির অভাবের কারণে স্থানীয়ভাবে পরিচিত লোকদেরকে দালাল হিসেবে বেচে নেয়। তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা দেয় মূলত ঝুঁকিমুক্ত থাকার আশায়। এভাবেই চরমে উঠে স্থানীয় দালালি। স্থানীয় অবৈধ দালালরাও এ সুযোগে মোটা অংকের অর্থনৈতিক ফায়দা লুটে। কখনোবা অফিসের দোহাই দিয়ে টাকা মেরেও দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়।
সাধারণ জনগণের দাবি গ্রাম্য দালালদের উপর নির্ভরশীলতার লক্ষ্যে সিকিউরিটির নিয়ম চালুর পাশাপাশি কঠোর আইনি প্রক্রিয়ার কার্যকর ব্যবস্থা সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দালারা প্রভাবশালী ও প্রতারক শ্রেণীর বিধেয় তাদেরকে বাঁচাতে এক্সট্রা থাকে স্থানীয় অবৈধ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক লাভের মোহে প্রসাশনের কিছু অসাধুরাও। বাধ্য হয়ে প্রতারণাকে নিয়তির লেখা ভেবে মেনে নেয় ভুক্তভোগী অসহায়েরা।
বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের চেয়েও অধিক পরিমাণে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অর্থনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে ইউরোপ এবং আমেরিকাসহ উন্নত দেশের কথা বলে। মোটা অংকের বেতনের প্রলোভনে ফেলে অনেক দালালরা এই সুযোগে রাতারাতি বনে যাচ্ছে কোটিপতি। এছাড়াও দেখা যায় বিদেশে অবস্থান করেও অনেকে লোক নেওয়ার ছলে করে ভয়াবহ প্রতারণা।
কটিয়াদী করগাঁও এলাকার প্রতারক জাপানি দিপুও বেশ কয়েক বছর ধরে এমনিভাবে জাপান অবস্থান করে বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়ার নামে করেছে প্রতারণা। নিকলী সদর কুর্শার ভয়াবহ প্রতারক অস্ট্রিয়া বসবাসকারী কামরুজ্জামান নজরুলও বহু মানুষকে সর্বশান্ত করেছে অস্ট্রিয়া নেওয়ার কথা বলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের পূর্ব সোনারামপুরের আবু তৈয়ব কাজল ২০১৬ সালের দিকে প্রায় ২০০ লোককে পথে বসিয়ে আফ্রিকার সোমালি ল্যান্ড নিয়ে। মুক্তিপণসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকে দেশে ফিরে। দীর্ঘদিন কাজল আত্মগোপনে থাকলেও থেমে নেই তার এই কৌশলিক মানব পাচার।
সচেতন মহলের পাশাপাশি সাধারণ জনগণেরও প্রায় একই ভাষ্য: এমন ভয়াবহ প্রতারণার চিত্র শুধু নিকলীর জারইতলাতে নয় এটা গোটা বাংলাদেশের একটি খন্ড চিত্র। অবৈধ দালালে চেয়ে গেছে দেশ। দেশের অর্থনৈতিক চালিকা শক্তিকে আরও বেগবান করতে চাইলে সরকারকে এই সেক্টরে গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রাম্য দালালদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তবেই কমবে দালালদের মিথ্যাচার, প্রতারণা আর মানব পাচার। শতভাগ আস্থার ক্ষেত্র তৈরি হলেই বাড়বে রেমিট্যান্স যোদ্ধার পরিমাণ। কমে আসবে বেকারত্ব। বেকারত্ব থেকে মুক্তি মিললে অপরাধও কমে আসার সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত করেন তারা।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিনের সাথে গ্রাম্য দালালদের বিষয়ে কথা হলে থানাতে প্রায় সময়ে অভিযোগ মিলে বলে এর বাস্তবতা স্বীকার করেন। তবে আদালতের মাধ্যমে এই বিষয়ের অভিযোগ বেশি থাকে বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে কিশোরগঞ্জের আদালতে খোঁজ নিলে আদালত সূত্রেও অসংখ্য মামলা মোকদ্দমার বাস্তবতা মিলে।
লেখক: সাংবাদিক।