ফজলুল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করায় তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে জামায়াত কর্মী মোবারক উল্লাহ টিপু নিজেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সেই সাথে তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মামলা তুলেনিতে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে বিবাদীরা। তাদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সোনাইমুড়ীতে কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে এ সব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিহিরগাঁও গ্রামের আলি আকবরের ছেলে ও আমিশাপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী মোবারক উল্লাহ টিপু স্থানীয় ডিডি এন নামক কোম্পানির ইনচার্জ হিসাবে কর্মরত রয়েছে। গত ২০ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন ওরপে সালু ও বেলায়েত হোসেন হাড্ডির নেতৃত্বে ১৫/১৬জনের একটি দল উক্ত প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দখলের উদ্দেশ্যে হুমকি দুমকি প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে তারা চাপাতি, লাঠি ও রামদা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জামায়াতের কর্মী মোবারক উল্লাহ টিপু (৪১) কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ডিডি এন কোম্পানির অফিসের আলমিরার ড্রয়ার ভেঙে ২ লক্ষ টাকা, অগ্রণী ও সোনালী ব্যাংকের স্বাক্ষরিত চেকের পাতা, দুটি মোবাইল ফোনসহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা টিপুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
ভুক্তভোগী টিপুর স্ত্রী মারজাহান বেগম বাদী হয়ে গত ৫ ডিসেম্বার নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে ১০ জন এজাহার নামীয় ও ৫/৬ জন অজ্ঞাতকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং সি আর ৪৯৯/২০২৪ইং। আদালতে মামলা দায়েরের পর সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে মামলা রুজুর নির্দেশ দেন। এতে বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে অব্যাহত হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এতে করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার প্রানভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মারজাহান প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এলাকাবাসী জানান, সালাহ উদ্দিন ও তার সহযোগীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যাবসা করে আসছে। তাদের ভয়ে এলাকার জনসাধারণ আতংকে দিনাতিপাত করছে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ বিষয়ে বলেন, জামায়াতের কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।আমাদের গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে বিশেষ টীম কাজ করছে।