স্পোর্টস ডেস্ক
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সেমিফাইনালে পাকিস্তান ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে স্বল্প রানে গুঁড়িয়ে ব্যাটে সহজ জয় তুলে নিয়েছে যুবা টাইগার্স বাহিনী। ৭ উইকেটে জিতে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। শিরোপা মঞ্চে ভারতকে প্রতিপক্ষ পেয়েছে।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। সকাল ১১টায় গড়াবে লড়াই।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার আসরের প্রথম সেমিতে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল। টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে ৩৭ ওভারে ১১৬ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। জবাবে ২২.১ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ।
রানতাড়ায় নেমে ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কালাম সিদ্দিকী ১৪ বল ব্যাট করে রানের খাতা খোলার আগে ফিরে যান। ২৮ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার। ২৫ বলে ১৭ রান করেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭ রান তোলেন আজিজুল হাকিম ও মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ৮৫ রানে শিহাব ফিরে যান, ৩৬ বলে ২৬ রান করে।
২০.১ ওভারে ফিফটি পূর্ণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩৯ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ২ ছক্কার মার। রিজান হোসেনকে সঙ্গী করে টাইগারদের জয়ের বন্দরে পৌঁছান আজিজুল। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। রিজান ১৭ বলে ৫ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আলি রেজা, আব্দুল সোবহান ও নাভিদ আহমেদ খান।
এর আগে পাকিস্তানকে ব্যাটে পাঠিয়ে প্রথম তিন ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। রানের খাতা খোলার আগে দুই ওপেনার উসমান খান ও শাহজেব খানকে ফেরান পেসার মারুফ মৃধা। ৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ধীরগতিতে রান তোলার চেষ্টা করেন পরের দুই ব্যাটার মুহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ ও অধিনায়ক সাদ বেগ।
তাতেও খুব বেশি সফলতা আসেনি পাকিস্তানের। ১৮ রানে সাদ ও ২৮ রান করা রিয়াজুল্লাহকে ফেরান ইকবাল হোসেন ইমন। ৫৩ রানে ৪ উইকেট হারালে রান তোলার গতি আরও কমে দলটির। চাপের মধ্যে রান নিতে গিয়ে ২ রান করা নাভিদ আহমেদ খানকে রানআউট করে সাজঘরের পথ দেখান কালাম সিদ্দিকী।
২৭.৫ ওভারে ৭৯ রানে হারুন আরশাদ ফিরে গেলে পাকিস্তানের জন্য পুরো ৫০ ওভার টিকে থাকাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। হারুনের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ১০ রান। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তানের হাল ধরেন ফারহান ইউসুফ-ফাহাম উল হক। জুটিতে আসে ৩৪ রান। ১১৩ রানে উইসুফ আউট হলে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে আর টিকে থাকতে পারেননি কেউই। ইউসুফের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৭ ওভার বল করে ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন ইমন। মারুফ নেন ২ উইকেট।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চ নিশ্চিত করেছে ভারত। শারজায় টসে জিতে আগে ব্যাটে নেমে ৪৬.২ ওভার ব্যাট করে ১৭৩ রানে থামে লঙ্কান ইনিংস। জবাবে বৈভব সূর্যবংশীর ৩৬ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২১.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত।