আমার কাগজ প্রতিনিধি
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদের দল আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সঙ্গে ১৬ বছর একত্র হয়ে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক মানবাধিকারকে ক্রমাগতভাবে হরণ করেছে। তারা নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে মুছে দিয়েছিল। ৫ আগস্ট এই অপশক্তিকে প্রতিহত করে ছাত্র-জনতার বিপুল তরঙ্গ। এই পরাজিত শক্তির যাতে পুনরুত্থান না ঘটে সে জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। ৯ বছর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ’৯০-এর ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র। সেই অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনায় আবারও ছাত্র-জনতা গত ৫ আগস্ট এক হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনার দুঃশাসনে খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুমসহ নানামাত্রিক নিপীড়ন করা হয়েছে। দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির লাখ লাখ নেতাকর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতনের অক্টোপাসে আঁকড়ে রাখা হয়েছিল। সারাদেশকে শ্বাসরুদ্ধকর কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল।
আরেক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেয়েছে। কিন্তু এ দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সব বাধা অতিক্রম করে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করেছে। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়। কোনোভাবে যাতে আর ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয়, দেশ যেন গুম, গুপ্তহত্যা আর ক্রসফায়ারের নিষ্ঠুর জাঁতাকলের মধ্যে পতিত না হয়, রাষ্ট্র-সমাজের সর্বত্র যেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা পায়। একদলীয় লুটেরা, কর্তৃত্ববাদ আর যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সে জন্য গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানে পতন ঘটে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। এরপর থেকে দিনটি স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে বিভিন্ন সংগঠন।