আমার কাগজ প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বর সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপরে আমরা সবাই মিলে আলোচনা করবো। রাষ্ট্র মেরামত না করেই যদি অন্তর্বর্তী সরকার চলে যায়, তাহলে এই প্রজন্ম আমাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এনডিএমের আয়োজনে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, গত ১৫ বছরের একটা আন্দোলন আমাদের এ জায়গায় নিয়ে এসেছে। বর্তমান অস্থিরতার মধ্যেই দাঁড়িয়ে আমরা সংস্কারের কথা বলছি। কেমন বাংলাদেশ চাই তা নিয়ে এখন যে তর্ক চলছে আমরা সেটাই চেয়েছিলাম। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে কোনো সংস্কার টিকে থাকবে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন পরবর্তী সময়ে জনগণের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা জেগেছে তার বাইরে গিয়ে আগামীতে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।
এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, প্রথম ধাপে এনডিএমের দেয়া ৯টি সংস্কার খুবই জরুরি। এনডিএমের কোন অঙ্গ প্রতঙ্গ কখনও ফ্যাসিজম হবে না। মানুষের ভোটাধিকার দেশের জমিনে ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
আলোকচিত্রী ও সাংবাদিক শহিদুল আলম বলেন, প্রস্তাব দেয়ায় কোন সমস্যা নেই তবে প্রয়োগে সমস্যা রয়েছে। এতো বছর বাংলাদেশ অনেক সূর্য সন্তান দেখেছে আর নতুন করে কোন সূর্য সন্তান দেখতে চাই না।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কার হবার পরেও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে যেনো ফ্যাসিস্ট ফিরে আসতে না পারে। রাজনীতি নষ্ট করেছে জাতীয় পার্টি। নেতাদের বিক্রি করেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে কোনভাবেই সুযোগ দেয়া যাবে না।