আমার কাগজ প্রতিবেদক
পহেলা অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৬০০’র বেশি গুমের অভিযোগ পেয়েছে গুম কমিশন। এরই মধ্যে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে ১৪০ জনের। আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৪০০ অভিযোগ। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গুমের ঘটনাগুলোর সঙ্গে পাশের দেশের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদেরও।
মঙ্গলবার সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি জানান, জিজিএফআই, র্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডির কর্মকর্তারা গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও সরকারের সমালোচনা করায় অনেকে গুমের শিকার হয়েছেন।
কমিশনটির চেয়ারম্যান জানান, অনেক জায়গায় আলামত ধ্বংসের চেষ্টা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে র্যাব, যার সংখ্যা ১৭২টি।
বিগত সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি বাহিনীকে সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কাউকে গ্রেপ্তার করে সময়মতো আদালতে হাজির করা হয়নি।
গুমের সঙ্গে দেশি-বিদেশি কারা সম্পৃক্ত তা খুঁজে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা সরকারের সমালোচক ছিল তাদেরও গুম ও টর্চার করা হতো বলে উঠে এসেছে। এখন পর্যন্ত ডিজিএফআই, র্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।
এর মধ্যে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি ১৭২টি, সিটিটিসি ৩৭, ডিবি ৫৫, ডিজিএফআই ২৬, পুলিশের বিরুদ্ধে ২৫টি অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, ২৯৯ জনের মতো এখনও নিখোঁজের তথ্য তাদের কাছে আছে। তবে তাদের মধ্যে এই কতোজন গুম আছেন তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঢাকার মধ্যে র্যাবের তত্বাবধানে বেশ কিছু টর্চার সেল দেখেছে গুম কমিশন, যা খুব ভয়ঙ্কর।