আমার কাগজ প্রতিবেদক
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধক) ভেঙে আগানোর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত দুই দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্য এবং শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভে রাষ্ট্রপতির বিদায়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে ভালো। না হলে সরকারের পক্ষ থেকে এ সপ্তাহের মধ্যেই একটা অবস্থান পরিষ্কার করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতিকে বহাল রাখার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সাংবিধানিক নানা বাধ্যবাধকতার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করার পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই, এমন মন্তব্য করার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সরকার ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কারও কারও সন্দেহ, হঠাৎ রাষ্ট্রপতির এ ধরনের বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রও হতে পারে।
এদিকে সরকারের অন্য একটি সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম গতকাল দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ।
গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা এখনো পাওয়া যায়নি। ছাত্রদের বিক্ষোভ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেননি।