আমার কাগজ প্রতিবেদক
গত ১৯ অক্টোবর ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; শিক্ষকের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ সহকর্মীর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মানিত সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন তাঁর এক সহকর্মী। এ বিষয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সম্মানহানি করা হয়েছে বলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেন কমিশনের সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ।
এ বিষয়ে কমিশনের সম্মানিত সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শেদুল ইসলাম গত ১৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলনে পিএইচডি জালিয়াতি করে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। বিশ্বজিৎ চন্দ উল্লেখ করেন যে, তার লন্ডনের সোয়াস (SOAS) থেকে অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি কোনোভাবেই অসত্য নয় এবং তাঁর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বিধি মোতাবেক হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাঁর ছুটির সমস্ত বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত ছিল এবং ‘বিনা বেতনে বিশেষ ছুটি’র সময়কালে কোন বেতন-ভাতা নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ড. মুর্শেদুল ইসলাম জনাব বিশ্বজিৎ চন্দ এর সম্মানহানি করেছেন এবং কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন মর্মে উল্লেখ করেন। বিশ্বজিৎ চন্দ এই ভিত্তিহীন ও মানহানিকর অভিযোগের তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এরই প্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর ১৬ ধারা মোতাবেক সংবাদ সম্মেলনকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, ড. মুর্শেদুল ইসলাম (পিটার) কে তাঁর বক্তব্য সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ০৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ কমিশনে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।