ক্রীড়া ডেস্ক
চোখের সমস্যা আগের থেকেই ভোগাচ্ছে, নতুনভাবে যোগ হয়েছে আরও সমস্যা। চেন্নাই টেস্টের ধারাভাষ্যকারদের কথা ঠিক হলে, সাকিব আল হাসানের আঙুলে অস্ত্রোপচারও হয়েছে! এ কারণেই নাকি তিনি ঠিকমতো বল গ্রিপ করতে পারছেন না। মার খাচ্ছেন বেদম। দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে তাই প্রশ্ন উঠেছে, সাকিব কি অসুস্থতা নিয়েই খেলছেন?
আজ শনিবার চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ৫১৫ রানের বিশাল টার্গেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে। আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত সাকিব আর অধিনায়ক শান্ত মিলে দারুণ এক জুটি গড়েন। এদিন সাকিবকে হেলমেটের স্ট্র্যাপ কামড়ে ধরে ব্যাট করতে দেখা গেছে। গতকাল শুক্রবার প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেও সাকিব একই কাজ করেছেন। সেদিন তিনি আউট হয়েছিলেন ৩২ রানে।
সাকিবের এই হেলমেটের স্ট্র্যাপ কামড়ে ধরা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতুহলের। এই ম্যাচে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্বে থাকা দিনেশ কার্তিক জানিয়েছেন, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতেই এমন কাজ করছেন সাকিব। চোখের সমস্যার কারণে ব্যাট করার সময় মাথা লেগ সাইডের দিকে ঝুঁকে থাকায় তার বল দেখতে অসুবিধা হয়। সেটি এড়ানোর জন্যই তিনি এ কাজ বলে জানান কার্তিক। তার সঙ্গে একমত হয়েছেন আরেক ধারাভাষ্যকার তামিম ইকবালও।
এদিকে আজ শনিবার সকালে সাকিবের অসুস্থতা নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন ভারতের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মুরালি কার্তিক। ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তাকে (সাকিব) আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী কারণে সে কম বোলিং করছে…সে আমাকে যা বলেছে, তা একজন স্পিনার হিসেবে আমি অনুধাবন করতে পারছি। তার বাঁ হাতের স্পিনিং ফিঙ্গারে একটা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেটি এখন ফুলে গেছে, শক্ত হয়ে আছে। ওই আঙুলে সে বলের অনুভূতিটাও পাচ্ছে না। স্পিনার হিসেবে বলের অনুভূতিটা দরকার। এছাড়া তার কাঁধেও অস্বস্তি আছে।’
এরপর তামিম ইকবালের ধারাভাষ্যের পালা এলে তিনি মুরালি কার্তিকের বক্তব্যের প্রসঙ্গটি ফের তুলে ধরেন। তিনি যৌক্তিক একটা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘মুরালি কার্তিক বলে গেছে, আঙুলের সমস্যার কারণে সাকিব বল গ্রিপ করতে পারছে না। যদি তা-ই হয়, তাহলে বাংলাদেশ চারজন ফ্রন্টলাইন বোলার নিয়ে খেলছে। টিম ম্যানেজমেন্টের অবশ্যই জানানো উচিত, তারা এই ইনজুরির কথাটা আগে থেকেই জানত কি না।’
সব মিলিয়ে সাকিব স্বস্তিতে নেই। রাজনৈতিক কারণে দেশেও ফিরতে পারছেন না। পাকিস্তান সিরিজ এবং কাউন্টিতে ভালো বোলিং করলেও ভারতে সেটা পারছেন না। বছরের শুরুর দিকে সাকিব লন্ডনে চোখের চিকিৎসককেও দেখিয়েছেন। তামিমের ধারণা, দৃষ্টি সরাসরি যাতে বোলারের দিকে থাকে তাই সাকিবকে স্ট্র্যাপ কামড়াতে দেখা। এর আগে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগেও তিনি একই কাজ করেছিলেন।