আমার কাগজ ডেস্ক
২০২২ সালে চরম অর্থনৈতিক সংকট ও গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুতের পর প্রথমবারের মত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল সাতটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, শেষ হবে বিকেল চারটায়।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে ভোট গণনা। আনুষ্ঠানিক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে আগামীকাল রোববার।
এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ জন। তবে তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী ৩ জন এবং ভোটের মূল লড়াই হচ্ছে এই তিনজনের মধ্যেই। খবর আল জাজিরা।
এবারের নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক সংস্কারের গণভোট হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে দেশটিকে, এতে করে দেশটি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ তিন প্রার্থী হলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির রনিল বিক্রমাসিংহে, ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা অনুড়া কুমার দিসানায়েক এবং বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়েগার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা।
এছাড়া রাজাপক্ষে পরিবার থেকে প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী নমল রাজাপক্ষে। এই পরিবার থেকে অতীতে দুজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একজন হলেন নমলের বাবা মাহিন্দা রাজাপক্ষে আর অপরজন চাচা গোতাবায়া রাজাপক্ষে। নমল লড়ছেন শ্রীলঙ্কান পদুজন পেরামুনা (এসএলপিপি) দল থেকে।
তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। অর্থনৈতিক সংকট ও বিক্ষোভের মুখজে গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছাড়ার পর পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান। তার গত দুই বছরের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নতুন আইন অনুযায়ী, একজন ভোটার তিন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কোনো একজন প্রার্থী কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বা এর চেয়ে বেশি ভোট পেলে, তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আর কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা (রান-অফ) ভোট হবে।
আল জাজিরা বলছে, প্রায় ১৭ মিলিয়ন শ্রীলঙ্কান এবার ভোট দেবেন। রেকর্ড ৩৮ জন প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দেশটিতে অতীতেও রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাস থাকায় এবার ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বজায় রাখতে হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।