আমার কাগজ ডেস্ক
গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘হিরো আলমকে আদালত প্রাঙ্গণে কিলঘুষি মেরে কান ধরে ওঠবস’ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। উক্ত ঘটনাটি নিবিড় তদন্তপূর্বক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি ছিলো কিনা তা যাচাইপূর্বক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে আগামী ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-কে বলা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সুয়োমটোর বিষয়বস্তু উল্লেখ করা হলো।
গৃহীত সুয়োমটোতে সংবাদ প্রতিবেদনের বরাতে উল্লেখ রয়েছে, আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বগুড়ার আদালত প্রাঙ্গণে গত ৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) হামলার শিকার হয়েছেন। হামলাকারীরা তাঁকে কিলঘুষি মারার পর চ্যাংদোলা করে আদালত প্রাঙ্গণে বের করে মারধর করেন। পরে তাঁকে কান ধরে ওঠাবস করানো হয়। হিরো আলম মামলা করতে বগুড়ার আদালতে গিয়েছিলেন। তিনি বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (নন্দীগ্রাম আমলি আদালত) আদালতে মামলা করে বের হওয়ার সময় এজলাস কক্ষের ফটকে হামলার শিকার হন। আদালত প্রাঙ্গণে থাকা বহু মানুষের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সুয়োমটোতে উল্লেখ রয়েছে, বগুড়ায় আদালতের এজলাস কক্ষের ফটকে বহু মানুষের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে মারধর করা, কিলঘুষি মারা ও কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। সমাজে কেউ যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে আইনের বিধান মতে তাঁর বিচার হবে। কোন অপরাধের অযুহাতে কারও গায়ে হাত তোলা, মারধর করা, কিলঘুষি মারা ও কান ধরে ওঠবস করানোর মতো ঘটনা সম্পূর্ণ বেআইনি। এ ধরনের ঘটনা পরিহারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যতম দায়িত্ব। এ বিষয়ে সচেতন থাকতে আহ্বান জানায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।