ফজলুল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা থেকে লুট হওয়া ১২ টি অস্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসি। বিক্ষুদ্ধ জনতা এই অস্ত্রগুলো কেড়ে নিয়েছিল। পরে মাইকিং করে অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে তারা দিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে,শটগান, থ্রি নট থ্রি রাইফেল, পিস্তল ও দোনালা বন্দুক সহ ৭ টি এবং এল এম জি-১,টি-৫৬ চায়না-১ টি,এস,এম জি-২ টি,শর্টগান-১ সহ মোট ১২ অস্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮:৩০ টার মধ্যে সোনাইমুড়ী থানা প্রাঙ্গণে ও পরে সোনাইমুড়ী উপজেলায় সেনবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো.ইফতেখার ও সোনাইমুড়ি উপজেলা কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমার উপস্থিতিতে ক্যাপ্টেন অর্ণবের কাছে অস্ত্র গুলো জমা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার ৫ আগস্ট দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়। এরপর তারা সেখােনে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আনন্দমিছিল থেকে কয়েকজন সোনাইমুড়ী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এরপর উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আরও শতাধিক লোক আহত হয়। এতে ৪পুলিশসহ ৮জন মানুষ মারা যায় বলে যানা যায়। ওই সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা সোনাইমুড়ী থানা থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী মাইকের ঘোষণা শুনে ১২ অস্র জমা দিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে সেনবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো.ইফতেখার বলেন। অস্ত্রগুলো সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, গত দুদিন ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখতে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও তারা প্রধান সড়কের বিভাজকের সৌন্দর্য বাড়াতে গাছ লাগানোর কাজ করছেন। শিক্ষার্থীদের এমন কাজে বেজায় খুশি স্থানীয় এলাকাবাসী।