
ফজলুল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সিধেঁল চুরি মামলার রহস্য উদঘাটন করে ৭ মামলার আসামীকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
রবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামী সুজনকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
এ সময় পুলিশ আসামীর কাছ থেকে দেশীয় তৈরী পাইপগান, কার্তুজ, চোরাই স্বর্ণ, ২ টি মোবাইলসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে রবিবার সকাল ১১ টার দিকে থানা প্রাঙ্গনে নোয়াখালী জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস প্রেস ব্রিফিং করেন।
প্রেস ব্রিফিং এ জানান গত ২২ মে রাতে উপজেলার পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের দীনবন্ধু সাহার বাড়ীর বিশ্বজিত সাহার টিনশেড ঘরের ভিতরে উপজেলার পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে সাহাবুদ্দিন প্রকাশ সুজন (৩২) চুরির উদ্দেশ্যে ঢুকে।
এ সময় টের পেয়ে সিন্দু রঞ্জন সাহা চিৎকার দিলে তাকে চোর সুজন কাট দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকার শুনে স্ত্রী কাজল সাহা এগিয়ে আসলে তাকেও উপর্যুপরি মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় আসামী সুজন স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, ১টি বিদেশি টর্চ লাইট, ১টি চায়না চার্জার লাইট, ২টি মোবাইল ফোর চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ২৫ মে উপজেলার পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের সিন্ধু রঞ্জন সাহার ছেলে বিশ্বজিৎ সাহা বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শনিবার দিবাগত রাতে ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে এস আই গিয়াস উদ্দিন, এস আই সুভাষ পাল, এ এস আই জাহাঙ্গীর আলমের সমন্বয়ে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে সাহাবুদ্দিন প্রকাশ সুজনকে তার বসতঘর থেকে আটক করে।
আসামী সুজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার ঘর থেকে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, কার্তুজ, একটি লোহার দা, চোরাই স্বর্ণ, ২ টি মোবাইলসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান গ্রেফতারকৃত আসামী সাহাবুদ্দিন প্রকাশ সুজন একজন পেশাদার চোর। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র ও চুরির ঘটনায় ৭ টি মামলা রয়েছে।