
মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের নিজ গ্রামের চুরি, গোষ্ঠীগত দাঙ্গা,জুয়া,মাদক সহ সকল ধরনের অপরাধ দমনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনা করেছে স্পাইডার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেলদি এগ্রো এন্ড ফিশারিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মুন্সি।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের মৃত গোলাম কাদির সামছু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া যদিও রাজধানী ঢাকায় ব্যবসা কিন্তু শহরের কোলাহল যুক্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিজে গ্রাম ছুটে আসেন প্রতিনিয়ত। তিনি এলাকায় আসার পূর্বে ঐ এলাকায় রাতের আধাঁরে কৃষকের শেষ সম্ভব গরু, ধান, চাল এমনকি হাতের মোবাইলটুকুও চুরি করে নিয়ে যেত চুরেরা, শুধু তাই নয় একশ্রেণীর কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সৃষ্টি হত টেঁটা যুদ্ধ, গোষ্ঠীগত দাঙ্গায় বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিও হয়েছে । এছাড়া মাদক,জুয়া,বিচার সালিসের নামে সাধারণ গ্রামবাসীকে হয়রানি করার মত ঘটনাও ঘটেছে বহুবার। এসব কর্মকান্ডে বেশির ভাগ সময় ইন্ধন যোগাতো অলি মুন্সি,পুলিশ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সেলিম,সাইফুল ইসলাম,আমিরুল সহ চাঁদাবাজি,আইসিটি,মানহানি সহ একাধিক মামলার আসামিদের ১০/১৫ জনের একটি চক্র। ২০২০ সালের শুরুর দিকে এসকল অপরাধ দমন করে নিজ গ্রামকে আধুনিক গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে প্রথমে রিপন মিয়ার নেতৃত্বে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন হয়। কমিটির সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রামীণ বিচার ব্যবস্থাকে শক্ত করায় ধীরে ধীরে সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম, মুসা, সজিব, ফালু মিয়া সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, শিল্পপতি রিপন মিয়া গ্রামে এসে প্রথমে সকল চুরদের জরিমানা করে সে জরিমানার ও উনার নিজস্ব টাকা গ্রাম উন্নয়নের কাজে লাগিয়ে আমাদের গ্রামকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলেছে। আগে আমরা চুরি,মাদক,জুয়ার জন্য ঘুমাতে পারতাম না,কিন্তু উনার চেষ্টায় এখন অনেক শান্তিতে আছি। এছাড়া তারা আরো জানান, রিপন সাহেব গ্রামের মানুষের কর্মস্থান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত দান করায় মানুষ রোজগারের পথ ও ধর্মীয় পথ খুঁজে পেয়ে অপরাধ থেকে সরে এসেছে। রিপন সাহেব অপরাধ দমনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনা করেছে আমাদের গ্রামে।
গ্রামে ইন্ধন, জুয়া, মাদক চুরির মদদদাতা সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাইফুল জেল হাজতে থাকায়, অলি মুন্সির বাড়িতে গেলে তাকেও পাওয়া যায়নি,পরে সেলিম পুলিশের সাথে কথা বললে তিনি তাদের বিষয়ের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে।
নিজ গ্রামে অপরাধ দমনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনা করার বিষয়ে রিপন মিয়া জানান,আমার ব্যবসা ঢাকায় হলেও গ্রামের প্রতি আমার একটা আলাদা ভালবাসা রয়েছে, আমি আমার নিজের গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে একটা আধুনিক গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। এতে আমার উদ্দেশ্য হল আমার গ্রামের লোকজন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শান্তিতে বসবাস করবে।