চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চারদিন পেরিয়ে গেলেও ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ জলদস্যূর কবলে পড়া বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র কোনো কূলকিনারা হয়নি। গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজটিকে জিম্মি করে জলদস্যুরা। পরে সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটিকে নোঙর করা হয়। গতকাল শুক্রবার সোমালিয়ান দস্যূরা সেটিকে নিয়ে অজানা গন্তব্যের দিকে রওনা হয়।
এ বিষয়ে শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশি টেলিভিশনগুলোর উপর নজর রাখছে জিম্মিকারী জলদস্যুরা। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থেকে সংবাদ প্রচার করতে হবে। তা না হলে এতে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে প্রভাব পড়তে পারে। নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি ইস্যুতে সরকার কাজ করছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জিম্মি নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বিষয়টির উপর নজর রাখছে বাংলাদেশ সরকার।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে।
জলদস্যুদের উৎপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ভারত মহাসাগরে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীসহ জাহাজ চলাচলের নিয়ম। এছাড়া জাহাজের চারপাশে তারকাঁটার বেষ্টনী, হাইস্পিড ওয়াটারগানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু দস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহতে এসব ব্যবস্থার কোনোটিই নেওয়া হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়লাবোঝাই জাহাজটির পানির ওপরের অংশের উচ্চতা কম হওয়ায় খুব সহজেই এটিতে চড়ে বসে দস্যুরা। যার ফলে অনেকটা বিনা বাধায় জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় তাঁরা।