আমার কাগজ ডেস্ক
মালিতে খনির দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা, বেশিরভাগ খনি শ্রমিক সোনা খননের জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করে
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সোনার খনি ধসে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। মূলত খনিটির টানেল ধসে পড়ার পর বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অবশ্য নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০ বলে জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিতে একটি সোনার খনিতে টানেল ধসে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্বর্ণ খনির স্থানীয় কর্মকর্তা ওমর সিদিবে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘একটি শব্দ হওয়ার পর খনিতে ধস শুরু হয়েছিল। পৃথিবী তখন কাঁপতে শুরু করেছিল।’
গত শুক্রবার আফ্রিকার এই দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম কাউলিকোরো অঞ্চলের একটি স্থানে ওই সুড়ঙ্গটি ধসে পড়লেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে মৃতের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে ধসের ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
ওমর সিদিবে বলেছেন: ‘ওই মাঠে ২০০ জনেরও বেশি সোনার খনি শ্রমিক ছিল। অনুসন্ধান এখন শেষ। আমরা ৭৩ জনের মৃতদেহ পেয়েছি।’
তবে মালির খনি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বে কুলিবালি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অস্থায়ী পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে মৃতের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি।
এদিকে মালির সরকার ‘শোকগ্রস্ত পরিবার এবং মালিয়ান জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা’ প্রকাশ করেছে। এছাড়া খনির স্থানগুলোর কাছাকাছি বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলোকে নিরাপত্তার বিধানগুলো মেনে চলতে এবং শুধুমাত্র সোনার প্যানিংয়ের জন্য সংরক্ষিত এলাকায় কাজ করতেও বলেছে সরকার।
বিবিসি বলছে, মালিতে খনির দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা। কারণ বেশিরভাগ খনি শ্রমিক সোনা খননের জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে থাকেন।
কুলিবালি বলেছেন, অননুমোদিত টানেল খননের বিরুদ্ধে খনি শ্রমিকদের দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাদের সেই পরামর্শ ‘অকার্যকর’ হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার আরও তদন্ত করবে এবং বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় একটি দল পাঠাবে।
উল্লেখ্য, মালি বিশ্বের অন্যতম সোনা রপ্তানিকারক দেশ।