আমার কাগজ প্রতিবেদক
বিচ্ছিন্ন সহিংসতা ও অনিয়মের মধ্যে দিয়ে সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে রবিবার।এখন পর্যন্ত ২৯৯ তথা সবকটি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থীরা ২২৫ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া ৬২টি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন ও কল্যাণ পার্টি (ইব্রহিম) ১টি। এছাড়া ৩০০ আসনের মধ্যে ১টি আসনে একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
ঢাকা বিভাগ
ঢাকা
ঢাকা-১ আসনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।
ঢাকা-২ আসনে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিবুর রহমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৬৩৫টি ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন বিদ্যুত ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মনির সরকার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৮৬৮ ভোট।
ঢাকা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সানজিদা ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-৫ আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিজয়ে হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান মোল্লা সজল। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকার হারুনুর রশিদ মুন্না পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট।
ঢাকা-৬ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী রবিউল আলম মজুমদার মিনার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন এক হাজার ১০৯ ভোট।
ঢাকা-৭ আসনে নৌকার প্রার্থী হাজী সেলিমের ছেলে সোলায়মান সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন সাত হাজার ৩০৮ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জুবের আলম খান ৮৮০ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-৯ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ৯০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির কাজী আবুল খায়ের দুই হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন।
ঢাকা-১০ আসনে নৌকার প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. শাহজাহান দুই হাজার ২৫৭ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১১ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন ওয়াকিল উদ্দিন। তিনি ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শামিম আহমেদ পেয়েছেন দুই হাজার ৭৪৭ ভোট।
ঢাকা-১২ আসনে পুনরায় জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৬৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে দুই হাজার ২১৯ ভোট পেয়েছেন জাতীয় পার্টির খোরশেদ আলম খুশু।
ঢাকা-১৩ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক। নানক পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী ফুলের মালার প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩৬ ভোট।
ঢাকা-১৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লুৎফর রহমান কেটলি প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৯২ ভোট।
ঢাকা-১৫ আসনে কামাল আহমেদ মজুমদার নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে দুই হাজার ৪৪ ভোট পেয়েছেন সামসুল হক।
ঢাকা-১৬ আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ। তিনি ৬৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন রবিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট।
ঢাকা-১৭ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারা বাংলাদেশের আইনুল হক এক হাজার ৩৮০ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক খসরু চৌধুরী কেটলি প্রতীকে ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে এস এম তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিক লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট। তিনি জামানত হারিয়েছেন।
ঢাকা-১৯ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট।
ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেনজীর আহমদ বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধামরাইয়ের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ২৩৬ ভোট।
গোপালগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে বিজয়ী
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দুই লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম (আম– এনপিপি) ৪৬০ ভোট পেয়েছেন।
গোপালগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি এক লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাবির মিয়া (স্বতন্ত্র–ঈগল) ১ লাখ ৮ হাজর ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা) ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কাজী শাহীন (লাঙ্গল) ১ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছেন।
ফরিদপুর
ফরিদপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯ জন ভোট।
ফরিদপুর-২ আসনে (সালথা-নগরকান্দা) আসনে আবারও জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকের প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ১৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া পেয়েছেন ৮৫ হাজার ২৩২ ভোট।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট আর নৌকার প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট।
গাজীপুর
গাজীপুরে মোজাম্মেল, সিমিন রিমি, রুমানা আলী ও রাসেলের জয়, হেরেছেন চুমকি
গাজীপুর-১ আসনের বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি ১ লাখ ৯ হাজার ২১৮ ভোট পেয়েছেন। কটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম রাসেল ৯২ হাজার ৭৮৮ ভোট পেয়েছেন।
গাজীপুর-২ (গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকা) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিন পেয়েছেন ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট।
গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুমানা আলী এক লাখ ২৬ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন এক লাখ ১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন।
গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিমিন হোসেন (রিমি) ৮৯ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ ৪৪ হাজার ৪৫ ভোট পেয়েছেন।
গাজীপুর–৫ (কালীগঞ্জ, পুবাইল ও বাড়িয়া) আসনের বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামান। তিনি ৮১ হাজার ৪৭৭ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি (নৌকা) পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৭৪ ভোট।
টাঙ্গাইল
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর হার
টাঙ্গাইল-১ আসনে (ধনবাড়ী-মধুপুর) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি ১ লাখ ৭৪ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৭৮ ভোট।
টাঙ্গাইল-২ আসনে (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৬ ভোট।
টাঙ্গাইল-৩ আসনে (ঘাটাইল) স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা ঈগল প্রতীকে ৮২ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. কামরুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৩৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ট্রাক প্রতীকে ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৫ আসনে টানা তৃতীয়বার বিজয়ী হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন। তিনি ঈগল প্রতীক নিয়ে ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন-অর-রশিদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট।
টাঙ্গাইল-৬ আসনে (দেলদুয়ার-নাগরপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস খান হিমু ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৯২ ভোট।
টাঙ্গাইল-৭ আসনে (মির্জাপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ নৌকা প্রতীকে ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট।
টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাদের সিদ্দিকী হেরেছেন। জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান। অনুপম ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। আর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগকারী মীর এনায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট।
খুলনা বিভাগ
খুলনা
খুলনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত রায় পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬২ ভোট।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন জয় পেয়েছেন। তিনি ৯৯ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার গাউসুল আজম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৪১ ভোট।
খুলনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী ৮৬ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৯৩ ভোট।
খুলনা-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ ১৩ হাজার ৪৮০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন পেয়েছেন ৯৩ হাজার ১৫০ ভোট।
খুলনা-৬ আসনে নৌকার মো. রশিদুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ ৩ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের জি এম মাহবুবুল আলম পেয়েছেন ৫১ হাজার ৪৭৪ ভোট।
মাগুরা
মাগুরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়েছে। এছাড়া ডাব প্রতীক পেয়েছে ৫ হাজার ৯৯৩ ও লাঙ্গল পেয়েছে ২ হাজার ৩৪৩ ভোট।
মাগুরা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. শ্রী বীরেন শিকদার পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১১ ভোট। ডাব প্রতীক পেয়েছে ৮৬৬, লাঙ্গল ১০ হাজার ৯৬৯ ও ঈগল প্রতীক ১০ হাজার ৯৬৯ ভোট।
কুষ্টিয়া
নৌকা প্রতীক নিয়েও হাসানুল হক ইনুর ভরাডুবি
কুষ্টিয়া-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন, ৮৬ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল পেয়েছেন ৫১ হাজার ৫৬৭ ভোট। এ আসনে নৌকার প্রার্থী আ.কা.ম সরোয়ার জাহান বাদশা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৬৭ ভোট।
কুষ্টিয়া-২ আসনে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৩১ ভোট। অন্যদিকে স্বতন্ত্রে ট্রাক প্রতীকের কামারুল আরেফিন পেয়েছেন ৪১ হাজার ২৮২ ভোট।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের বর্তমান সাংসদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ। তিনি পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৩৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তণু পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৭২৬ ভোট।
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ। তিনি পেয়েছেন ৯৮ হাজার ৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮০ হাজার ১১১ ভোট।
যশোর
যশোর-১ (শার্শা) আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি এক লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনাপোলের সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট।
যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান ১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট।
যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ ১ লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মোহিত কুমার নাথ ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৫১১ ভোট।
যশোর-৪ আসনে নৌকা নিয়ে এনামুল হক বাবুল ১ লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট।
যশোর-৫ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার স্বপন ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে হেরেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহীন চাকলাদার। তিনি ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সৈয়দ দিদার বখত লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫৫৩ ভোট।
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির জয়। লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু ৮৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৭ ভোট।
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আ ফ ম রুহুল হক ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের আলিপ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৭৩ ভোট।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আতাউল হক ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের নোঙ্গর প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ৯৬ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭৬৮ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে (দামুড়হুদা, জীবননগর ও সদরের একাংশ) নৌকা প্রতীকের আলী আজগার টগর ১ লাখ ৭ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা পেয়েছেন ৬০ হাজার ৮৩৪ ভোট।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। তিনি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭২৮ ভোট।
ঝিনাইদহ-২ (ঝিনাইদহ-হরিণাকুণ্ডু) আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি এমপি পেয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ২০৭ ভোট।
ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দীন মিয়াজী। ৮৩ হাজার ১৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ শফিকুল আজম খান চঞ্চল (ট্রাক প্রতীক) পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯০৯ ভোট।
বাগেরহাট
শেখ হেলাল, শেখ তন্ময়, হাবিবুন নাহার ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বিজয়ী
বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৩৯ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ২১০ ভোট।
বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শেখ তন্ময় দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। শেখ তন্ময় পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়েছেন।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল- মোংলা) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী ইজারদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২০৪ ভোট।
বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) আসনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী দুপুরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া স্বতন্ত্র পার্থী এম আর জামিল হোসাইন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৬ ভোট।
মেহেরপুর
মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।
সিলেট বিভাগ
সিলেট
সিলেট-১ আসনে বিজীয় হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া মিনার প্রতীক ২ হাজার ১৮১ ও আম প্রতীক ৯৫০ ভোট পেয়েছে।
সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বতন্ত্র বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান (ট্রাক প্রতীকে) ১৬ হাজার ৬৬১ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা–ফেঞ্চুগঞ্জ–বালাগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮০ হাজার ৫৫ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪০৫ ভোট।
সিলেট-৪ নৌকার প্রার্থী ইমরান আহমদ পেয়েছেন ২ লাখ ৬ হাজার ৯২৫ ভোট। সোনালী আঁশ ৩ হাজার ৯৯২ ও মিনার প্রতীক ৩ হাজার ৫৪ ভোট।
সিলেট-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী মাসুক উদ্দিন পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৯৫ ভোট।
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার ১ (বড়লেখা -জুড়ি) আসনে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী, পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ১১২টি কেন্দ্রে তিনি নৌকা প্রতিকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট।
মৌলভীবাজার-২ আসনে নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট। ট্রাক প্রতীক পেয়েছে ১৫ হাজার ৫৫২ ও সোনালী আঁশ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৪৯ ভোট।
মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) ভোট কেন্দ্রে নৌকা মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পাটির মো. আতাফুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট।
মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আওয়ামী লীগের আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোটে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আব্দুল মুহিত হাসানি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মোমবাতি প্রতীকে ৫ হাজার ৩৯০ ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার (নৌকা প্রতীক) বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (কেটলী প্রতীক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৫২ ভোট।
প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী বিজয়ী
সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন গুপ্তা। কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৮হাজার ৬৭২ ভোট।
চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত পরিকল্পনামন্ত্রী
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়েছেন। তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ৪ হাজার ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে হেরেছেন বর্তমান সাংসদ, আ.লীগ প্রার্থীর জয়
এই আসনে (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৫২ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১৮ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক–দোয়ারাবাজার) নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান এক লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী শামিম আহমদ চৌধুরী ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট পেয়েছেন।
হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া (ঈগল) প্রতীক নিয়ে ৭৫ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৭০৩ ভোট।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের (নৌকা) প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল ৯৯ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৬০৬ ভোট।
হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের আবু জাহির ১ লাখ ৬০ হাজার ৬০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মুমিন চৌধুরী বুলবুল (লাঙ্গল) ৪ হাজার ৭৬ ভোট পেয়েছেন।
এক লাখের ব্যবধানে প্রতিমন্ত্রীকে হারালেন ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ঈগল প্রতীকে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী (নৌকা) ৬৯ হাজার ৫৪৩ ভোট পেয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল
বরিশাল-১ আসনে (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে নৌকা প্রতীক রাশেদ খান মেনন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩ ৯৭ভোট।
বরিশাল-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু। তিনি ৫২ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতিকুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৮৯ ভোট।
বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ ঈগল প্রতীকে ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি প্রার্থী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (লাঙল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৭৫ ভোট।
বরিশাল-৫ আসনে বিজয়ী হয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। নৌকায় তিনি পেয়েছেন ৯৭ হাজার ৭০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৭০ ভোট।
বরিশাল-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাফিজ মল্লিক। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ১০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সামসুল আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৭৪ ভোট।
পটুয়াখালী
রুহুল আমিন হাওলাদার জয়ী
পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার (লাঙ্গল) ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার (ডাব) ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট পেয়েছেন।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আ স ম ফিরোজ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মহসীন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৬।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে নৌকার প্রার্থী এস এম শাহজাদা ৯৪ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন (ঈগল) পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট।
পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব মহিব্বুর রহমান ৬০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৭৬ ভোট।
ঝালকাঠি
শাহজাহান ওমর জিতেছেন
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক এক হাজার ৬২৪ ভোট পেয়েছেন।
ঝালকাঠি-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু নির্বাচিত হন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমু পেয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার এক ভোট ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন এমরান পেয়েছেন চার হাজার ৩১৪ ভোট।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। ঈগল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট।
চট্টগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব। তরমুজ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৮৪ ভোট।
চট্টগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী। ঈগল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট।
চট্টগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এসএম আল মামুন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১২৪টি ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট। এই আসনেও তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের দিদারুল কবির পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৮৮০ ভোট।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের সমর্থনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৯৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। কেটলি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৫১ ভোট।
চট্টগ্রাম-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ৯৫টি ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট। এই আসনে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম (ট্রাক) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৯ ভোট।
চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। মোট ১০৩টি ভোট কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট। রাউজানের মতো এই আসনেও তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হয়নি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এডভোকেট ইকবাল হাছান পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১৫২টি ভোট কেন্দ্রে কেটলি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৪ হাজার ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ ভোট।
চট্টগ্রাম-৯ আসনে (চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত) প্রায় বিনা বাধায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের সানজীদ রশীদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২ ভোট।
চট্টগ্রাম-১০ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলম। ফুলকপি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৩৫ ভোট।
চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১৫২টি ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। কেটলি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট।
চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। ঈগল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে গেলে তেমন কেউ ছিলেন না। এখানে নামমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন— ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসেন (মোমবাতি) ৫ হাজার ১৪১ ভোট, জাতীয় পাটির আবদুর রব চৌধুরী (লাঙ্গল) ৩ হাজার ৩০৬ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী। ট্রাক প্রতীকে তিনি পেয়েছেন মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ১২ হাজার ৮৬২ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১৫৭টি ভোট কেন্দ্রে ঈগল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৬২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ১১৪টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ৩৬ হাজার ৯৬৮ ভোট পেলেও ভোট শেষের আগমুহূর্তে মোস্তাফিজের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট।
ফেনী
ফেনী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এক লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার শাহরিয়ার ইকবাল ৪ হাজার ১৯৫ ভোট পেয়েছেন।
ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপার নজরুল ইসলাম খোন্দকার পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৮ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নৌকার সাংসদের হার, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্রপ্রার্থী (কলার ছড়ি) সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জি এম ফরহাদ হোসেন ৪৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি) ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান (কাঁচি) ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আনিসুল হক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭টি ভোট। এনপিপির শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৬।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হেরে গেছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট। এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯০৬ ভোট।
রাজশাহী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ পেয়েছেন ১ লাখ ৮২৩ ভোট। আর লাঙ্গল আব্দুস সালাম খান পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১১ ভোট।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ সাত হাজার ৯৮৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট।
রাজশাহী-৫ আসনে (পুঠিয়া- দুর্গাপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুল ওয়াদুদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের ওবায়দুর রহমান পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট।
বগুড়া
বগুড়া-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৫৩ হাজার ২২৬ ভোট পেয়েছেন। আর ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ২২ হাজার ৮৪০ ভোট।
নওগাঁ
নওগাঁ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৭২১ ভোট।
পাবনা
পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বিজয়ী হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট।
ডলি সায়ন্তনীর পরাজয়
পাবনা-২ (সুজানগর- বেড়ার একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ৬৫ হজার ৮৪২ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী সংগীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।
পাবনা-৪ ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৩ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট।
পাবনা–৫ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ৫২হাজার ৭৮১ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াকার্স পার্টির জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ ভোট।
নাটোর
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আবুল কালাম ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকা প্রতীকের শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৪৭ ভোট।
নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল নৌকা প্রতীকে এক লাখ ১৬ হাজার ৪৩২টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকার পেয়েছেন ৬১ হাজার ১৫৪ ভোট।
নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শফিকুল ইসলাম ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৫৯ ভোট।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এক লাখ ১৩ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লা বিন কুদ্দুস শোভন ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ ৭৯ হাজার ৮১২ ভোট পেয়েছে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭০৯ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান ১ লাখ ১৫ হাজার ৫১ ভোট পেয় জয় পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ৬৬ হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ ৯১ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মতিন পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ ভোট।
রংপুর বিভাগ
রংপুর
জিএম কাদেরের জয়, হেরেছেন রাঙ্গা
রংপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আরেক স্বতন্ত্র মশিউর রহমান রাঙ্গা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।
রংপুর-৩ (সদর-সিটির আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।
রংপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ২১ হাজার ৮৯৩ ভোট। আর জাতীয় পার্টির মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ৪১ হাজার ১২৫ ভোট।
নীলফামারী
নীলফামারী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির ডালিম উদ্দিন ২৪ হাজার ৬৬১ ভোট।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট।
নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল ৩৯ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের মারজিয়া সুলতানা পেয়েছেন ২৫ হাজার ২০৫ ভোট।
নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (প্রতীক–কাঁচি) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচএম এরশাদের ভাগনে আহসান আদেলুর রহমান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।
ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন দুই লাখ ৫হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউর রাজি ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম এক লাখ ১৫হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম পেয়েছেন ৫৭হাজার ২৪৫ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) ১ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনিরকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকার। তিনি (ট্রাক) প্রতীকে ৯৫ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়েছেন। জাপার প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৮ ভোট।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৩১৭ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী সরকার পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫১৫ ভোট।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৫৮ ভোট। আর ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট।
দিনাজপুর
দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর) আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিক। তিনি ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট।
দিনাজপুর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট।
লালমনিরহাট
লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা- পাটগ্রাম) আসনে নৌকার প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন ৯০ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ১৫৮ ভোট।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি ৯৭ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিরাজুল হক (স্বতন্ত্র) ৫১ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুর
শেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছানুয়ার হোসেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক (নৌকা), ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
শেরপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মতিয়া চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট পেয়েছেন। মশাল প্রতীকের জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ ভোট। ঈগল প্রতীকের সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী এ ডি এম শহিদুল ইসলাম। তিনি ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আব্দুল্লাহহেল ওয়ারেজ (স্বতন্ত্র– ট্রাক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭২৮।
জামালপুর
জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুর মোহাম্মদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ২৮ হাজার ২৪৭ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এম আবু সায়েম ৬ হাজার ৭০ ভোট পেয়েছেন।
জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী ফরিদুল হক খান ৭০ হাজার ৭৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শাহীনুজ্জামান ৩০ হাজার ৫৪৮ ভোট পেয়েছেন।
জামালপুর-৩ এ মির্জা আজম জয়ী
জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মির্জা আজম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৩ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর সামসুল আলম পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট।
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট।
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো.আবুল কালাম আজাদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ১৫ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট।