আমার কাগজ প্রতিবেদক
রাজধানীর খিলক্ষেতে নিয়ন্ত্রণ হারানো বেপরোয়া জিপ গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত সুমন মিয়া ভর্তি রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনায় মারা গেছে তার ৮ বছর বয়সী ছেলে ইয়াসিন। সুমন মিয়ার কাছে ছেলের মৃত্যুসংবাদ গোপন রেখেছেন স্বজনরা।
গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে খিলক্ষেত ওভারব্রিজের নিচে বিমানবন্দরের দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ল্যান্ড ক্রুজারের ধাক্কায় নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত এবং একজন আহত হন। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ইয়াসিন। আহত অবস্থায় আমরিনা হক (২৭) নামে এক নারী ও উজ্জ্বল পাণ্ডে (২৬) নামের আরেকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুমনের বাবা মফিজ উদ্দিন জানান, গতকাল রাতে ছেলে সুমন ও নাতি ইয়াসিন আমার বাসায় আসার জন্য নিকুঞ্জ আসছিল। কিন্তু ওভারব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি বেপরোয়া গাড়ি আমার নাতিসহ আরও কয়েকজনের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইয়াসিনের মৃত্যু হয়। সুমন এবং আরও দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে বাকি দুজনের মৃত্যু হয়। আমার ছেলে এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সুমন এখনো জানে না ইয়াসিনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে সে ইশারায় জানতে চাইলে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। তবুও বলি, তোমার ছেলে ভালো আছে, বাবা।
মফিজ উদ্দিন জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ায়। পেশায় রাজমিস্ত্রি সুমন মোহাম্মদপুর এলাকায় থাকতেন। নিহত ইয়সিন মাদরাসায় পড়াশোনা করতো।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গতকাল রাতে খিলক্ষেতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু ও নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার বাম হাত, বাম পা ও মাথা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।