আমার কাগজ প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন দীর্ঘদিনের পুরনো রাজনৈতিক জোট ১৪ দলের বৈঠক বসছে সন্ধ্যায়, যে বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় সোমবার সন্ধ্যায় ১৪ দলীয় জোটের প্রধান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
আর এরি মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা শেষ হয়েছে। বাছাইও শেষ হচ্ছে এদিন বিকেলে।
১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ।
জোটের অন্যান্য দলের সিংহভাগ প্রার্থীই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন।
এবারের ভোটেও নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের ছয়টি দল নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।
এদিন তফসিল ঘোষণার পর মাত্র দুটি আসন ছেড়ে ২৯৮ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই দুই আসন হলো জাসদের হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়া-২ ও জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ-৫।
এবার ১৪ দলের শরীকদের জন্য আওয়ামী লীগ কতটি আসনে ছাড় দেবে তা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৪ সালে গঠিত হয় ১৪ দলীয় জোট। এই জোটে রয়েছে- জাসদ (ইনু), সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ, তরিকত ফেডারেশন, জেপি।
প্রতিপক্ষ না থাকলে কেন অহেতুক জোট, প্রশ্ন কাদেরেরপ্রতিপক্ষ না থাকলে কেন অহেতুক জোট, প্রশ্ন কাদেরের
বিদেশিরা বুঝে গেছে ভোট শান্তিপূর্ণ হবে: কাদেরবিদেশিরা বুঝে গেছে ভোট শান্তিপূর্ণ হবে: কাদের
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর ১৩টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। শরিকদের অনেকেই লড়েন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে।
তফসিল অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। জোটের শরিকদের আসন ছাড় দিলে ওই দিনের আগেই নৌকার প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে।
প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। আর ওই দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন।