আমার কাগজ প্রতিবেদক
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে পঞ্চম দফায় আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা সড়ক, নৌ ও রেলপথে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদাভাবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। তবে, ভোর থেকেই রাজধানীর সড়কগুলোতে যানচলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে পঞ্চম দফা অবরোধ শুরুর দিন সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। এবং গতকাল মঙ্গলবার রাতে (রাত ১১টা পর্যন্ত) রাজধানীতে চারটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অবরোধের সমর্থনে এসব বাসে আগুন দেয়া হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অবরোধের ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান।
রিজভী বলেন, কারাবন্দি বিএনপি নেতাদের মুক্তি, সমাবেশে হামলা, নেতাদের হত্যার প্রতিবাদ, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিতে এই ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দলগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে।
একই দিন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশও অবরোধের ডাক দেয়। এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমির জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সব রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আমি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ১৭ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে টানা ৪৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করা হয়। এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) একদিনের বিরতি দিয়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়।
এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।