আমার কাগজ প্রতিবেদক
ঢাকা-মংলা কমফোর্ট লাইন। সকাল থেকে চারটি বাস ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে একটি বাসও ছেড়ে যায়নি। রোববার (২৯ অক্টোবর) গাবতলী ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাস কাউন্টার বন্ধ। কয়েকটি খোলা থাকলেও যাত্রী সংকট।
কমফোর্ট বাসের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ সুমন বলেন, গাবতলীতে যাত্রী না থাকার কারণে বাস ছাড়তে পারি না। ঢাকা থেকে মংলা ৮ হাজার টাকার ডিজেল লাগে। যাত্রী না হলে লোকসানেতো বাস ছাড়তে পারি না।
সারাদেশে চলছে বিএনপি জামায়াতের হরতাল। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সহিংসতার আতংকে অনেকে বাস ছাড়তে পারছে না।
যেমন ঢাকা-কোটালিপাড়াগামী স্টার এক্সপ্রেসের কাউন্টার খোলা থাকলেও বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। স্টার এক্সপ্রেসের সুপারভাইজার বলেন, মালিক বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। গতকাল অনেক গাড়ি পোড়ানি হয়েছে তাই মালিক চিন্তায় পড়েছে বাস ছাড়া নিয়ে।
গাবতলী একেবারেই যাত্রী শূন্য। কয়েকজন আসলেও নানা বিপদে পড়ে এসেছেন তবুও যেতে পারছেন না। তাদের মধ্যে একজন গোপালগঞ্জে কালিয়ার মিকাইল শেখ। তিনি এক আত্মীয়র বিয়ের দাওয়াতে এসে আটকে গেছেন।
রোববার গাবতলীর সড়কেও যান চলাচল একেবারে কম। তবে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে। যুবলীগের কর্মীরা বাইক বহর নিয়ে শোডাউন দিচ্ছে গাবতলী ও এর আশপাশের এলাকায়।