আমার কাগজ ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বঙ্গভবনে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়কমন্ত্রী ড. তৌফিগ বিন ফাওজান আল রাবিয়াহর সঙ্গে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপ্রধান। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য ব্জানান।
সৌদি আরব বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম গন্তব্য। সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি দুই দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।’
সৌদিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের কল্যাণে সৌদি সরকার আরও বেশি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন।
পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশি হাজিদের জন্য ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এই উদ্যোগের ফলে হাজিদের যাত্রা এবং হজ পালন সহজ ও আরামদায়ক হয়েছে।’
রাষ্ট্রপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব হজযাত্রীরা আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারবেন।
এ বছর রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজ পালনকালে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য সৌদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদ-ই-নববীসহ বিভিন্ন ইসলামি ঐতিহ্য অত্যন্ত সম্মানের ও মর্যাদাপূর্ণ।’
বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে আগত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি সরকারের মানবিক সহায়তায় সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে।
পবিত্র হজ পালনকালে সৌদি প্রধানমন্ত্রী ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, তিনি শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
সৌদি আরবের মন্ত্রী ড. তৌফিগ বিন ফাওজান আল রাবিয়াহ বলেন, ‘ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দুই দেশ সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক দিন দিন নতুন উচ্চতায় উন্নীত হচ্ছে।’
মন্ত্রী জানান, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক বাড়াতে খুবই গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন তিনি।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান সৌদি আরবের এই মন্ত্রী।
মন্ত্রী ড. তৌফিগ বিন ফাওজান বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশি হাজিরা যেন আরও সহজে ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, রাষ্ট্রপতির সচিব, ধর্ম সচিব ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।