স্পোর্টস ডেস্ক
মেয়েদের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করল স্পেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে এই কীর্তি গড়ল তারা। ম্যাচের ২৯তম মিনিটে স্পেনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অধিনায়ক ওলগা কারমোনা। তবে স্পেনের বিশ্বকাপ জয় ছাপিয়ে চুমুকাণ্ড নিয়ে শুরু হল তুমুল বিতর্ক।
বিশ্বকাপ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে নিজের দেশের ফুটবলার জেনি হার্মোসোর ঠোঁটে চুমু খেয়ে নেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালস। ইতোমধ্যে যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
সেই ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে স্প্যানিশ তারকা দাবি করেন, ‘আমার ওটা ভালো লাগেনি।’ যদিও পরবর্তীতে নিজের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পাশে দাঁড়ান স্প্যানিশ তারকা। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হার্মোসো দাবি করেছেন যে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি যা করেছেন, তা নেহাতই স্নেহ এবং কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।
এই আসরেই স্প্যানিশ কোচের বিরুদ্ধে একাধিক খেলোয়াড়দের বিদ্রোহ, একাধিক সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকা সত্ত্বেও একেবারে তরুণ স্প্যানিশ দল যে কাজটা করেছে, তাতে উন্মাদনার মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায়। যত হাতে বিশ্বকাপ তোলার সময় এগিয়ে আসতে থাকে, তত উন্মাদনার মাত্রা বাড়তে থাকে। সেই বিশ্বকাপ হাতে তোলার আগে ফিফার তরফে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপ জয়ের পদক তুলে দেওয়া হতে থাকে। সেইসময় চুমুকাণ্ড ঘটে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নিজের দলের তারকা হার্মোসোকে জড়িয়ে ধরেছেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। একটা সময় হার্মোসার ঠোঁটে চুমু খেয়ে নেন। যে ভিডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি।
এক নেটিজেন দাবি করেন, ‘জেনি হার্মোসোকে ঠোঁটে চুমু বসিয়ে দেন উনি এবং মাত্রাতিরিক্তভাবে খেলোয়াড়দের ছুঁয়ে যাচ্ছিলেন।’ অপর একজন বলেন, ‘আমার কোনও ভাষা নেই। ওর (হার্মোসো) মুখ চেপে ধরেন এবং তাকে চুমু খান স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি। বিশ্বব্যাপী একটি টুর্নামেন্টের সরাসরি সম্প্রচারের এরকম হেনস্থাকারীদের থেকে রেহাই মিলছে না।’
ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রাম লাইভে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমার ওই বিষয়টা ভালো লাগেনি।’ এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কথাটা বলার সময় হার্মোসো অবশ্য হাসছিলেন। যিনি বিশ্বকাপ ফাইনালে পেনাল্টি ফস্কেছিলেন।
পরবর্তীতে স্প্যানিশ ফেডারেশনের তরফে দাবি করা হয়, হার্মোসো বলেছেন যে ‘এটা পুরোপুরি স্বতঃস্ফূর্ত এবং উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছিল। যে আনন্দের জোয়ার বয়ে নিয়ে আসে বিশ্বকাপ।’
স্প্যানিশ ফেডারেশনের দাবি, হার্মোসো আরও বলেছেন যে ‘প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। আমাদের সঙ্গে উনি যেরকম ব্যবহার করেন, তা দারুণ। আর (ওটা) পুরোপুরি স্নেহ এবং কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ ছিল। বন্ধুত্ব এবং কৃতজ্ঞতার একটি মুহূর্ত নিয়ে এত হইচইয়ের মানে হয় না। আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা থেকে আমরা নজর ঘুরিয়ে দেব না।’