আমার কাগজ ডেস্ক
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েও এখনো শেষ হয়নি। আমি এই পদে আসীন হওয়ার পরে আমাকে সময় দেওয়া হলো মাত্র ৮ দিন। আমি বললাম আমি এটা জানি না, আমাকে আগে জানতে হবে, তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা আশাবাদ আগামী সপ্তাহের মধ্যে এটা ক্যাবিনেটে পাঠাতে পারব।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ড্রিমার,স কনসাল্টেশন এন্ড রিসার্চ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত ”দুইশততম মেডিকেল ক্যাম্প উদযাপন” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আহতদের চিকিৎসা সহজ করতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। দেশের ডাক্তারদের পাশাপাশি আমরা ফ্রান্স, চীন থেকে ডাক্তার এনেছি। তারপর নেপাল থেকে চক্ষু চিকিৎসরা এসেছে। তারা বলেছে আমাদের এখানে ডাক্তাররা যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন সেটা যথাযথ হয়েছে। কিছু রোগীদের ব্যাপারে তারা বলেছেন দেশে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে মতামত জানাবেন।
পা হারানোদের ব্যাপারে আমরা যুক্তরাজ্য, চীন ও ফ্রান্সের ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এমন একজনকে আমরা ব্যাংককে পাঠিয়েছি, যার চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ২ কোটি টাকা। সিএমএইচএ আহত একজন আছেন। তার চিকিৎসার ব্যাপারে সিংগাপুরের সাথে কথা হচ্ছে। খোকন নামের একজন বার্ন ইউনিটে আছেন যারা মুখে গুলি লাগায় মুখে গুরুতর আহত হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যাপারে অষ্ট্রেলিয়ার সাথে কথা হচ্ছে। এরকম অনেককে আমরা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া আমাদের সাথে ইউনিসেফ, বিশ্ব ব্যাংকের সাথে কথা হয়েছে। তারাও আমাদের সহযোগিতা করবেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, উক্ত অনুষ্ঠানের যারা আয়োজন করেছেন।যাদের মহৎ উদ্যোগে এটি হচ্ছে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশে অনেক জায়গায় অনেক ভালো ভালো ডাক্তার আছে। আমরা যদি সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি তাহলে স্বাস্থ্য খাতে আরো উন্নতি করা সম্ভব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ,আব্দুল কাদের, মাহিন সরকার, ডাক্তার,স্বেচ্ছাসেবী ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ।