পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় নিজাম উদ্দিন প্রামাণিক নামের ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন তার প্রতিবেশীরা। এ সময় আব্দুল আলিম নামে তার এক ভাতিজা ও এক পুত্রবধূকেও মারধর করা হয়। রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের নতুন গোহাইলবাড়ি প্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মো. রফিক খাঁন গোহাইলবাড়ি গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিন খাঁননের ছেলে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের বেডে শুয়ে সোমবার বয়োবৃদ্ধ নিজাম উদ্দিন বলেন, তার প্রায় ৩ বিঘা জমি গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বেদখল হয়ে রয়েছে। এ জমির বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। জমির সব কাগজপত্র, রেকর্ড, খাজনা-খারিজ তার নামে। অথচ জমি দখলে রেখেছেন মো. রফিক খাঁন ও তার সহযোগীরা। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাড়ির জমি তারা দখল করে নেন। এতদিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে ও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য জমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে ওই বৃদ্ধ জানান।
বৃদ্ধের স্বজনরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় জমি জবরদখল ও তার বাড়িতে টয়লেটের পানি ছাড়ার প্রতিবাদ জানান নিজাম উদ্দিন। এতে রফিক খাঁন, তার ছেলে মিথুন খান, গোলাম রাব্বি খান ও তাদের সহযোগীরা এসে বৃদ্ধ ও তার ভাতিজা আ. আলিমকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন। ঠেকাতে এসে আঘাত পান ওই বৃদ্ধের এক পুত্রবধূ। এ সময় নিজাম উদ্দিন প্রামাণিক গুরুতর আহত হন। তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ওই বৃদ্ধের পরিবারের লোকজন জানান, তারা এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে অভিযুক্ত রফিক খাঁন ও তার ছেলেরা ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে গেছেন। এজন্য তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আ. সালাম জানান, থানায় এ পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।