
সংগৃহীত ছবি
আমার কাগজ প্রতিবেদক
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা। আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় হাসপাতালে প্রবেশ করেন তারা।জামায়াতের মহানগর উত্তরের প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে এক ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থান করেন জামায়াত নেতারা। এরপর দুপুর ১টা ৫ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান তারা।
খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া জামায়াত নেতারা হলেন- দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির আব্দুর রহমান মুসা, সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ও প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা গুরুতর। এ অবস্থায় তার দেশের বাইরে ট্রিটমেন্ট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও একজন ডাক্তার। তার বর্তমান অবস্থায় তার জন্য দেশে ভালো ট্রিটমেন্টের কোনো ব্যবস্থা নেই। তার সঠিক চিকিৎসা করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাকে বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে না দেওয়ার বাহানা করছে সরকার। এটা দেশবাসী সহজে মেনে নেবে না।’
এ সময় অনতিবিলম্বে বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য যেন দেশের বাইরে পাঠানো হয় সরকারের কাছে এ দাবিও জানান ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
গত বেশ কয়েক দিন ধরেই ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে তাকে বেশ কয়েকবার কেবিন থেকে সিসিইউতে নিতে হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় আসে।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন, এখনো তিনি সেখানেই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে কয়েক দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।