আমার কাগজ প্রতিবেদক
রাজধানীর লালবাগ ও আজিমপুরের যুবকদের সমন্বিত সংগঠন ‘জয়’ এর পথচলা শুরু হয়েছে। সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর কল্যাণের জন্য কিছু করার। সংগঠনটির চলমান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পুরনো কাপড় দিয়ে সহায়-সম্বলহীন সকল বয়সের মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং অন্ধদের জন্য আর্থিক অনুদান, অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। এছাড়া এতিম-অসহায় মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করা ও স্বামী পরিত্যক্তদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন বিধিনিষেধের ফলে চলমান কর্মসূচীগুলো কিছুদিন বন্ধ ছিল।
পরে করোনায় আক্রান্ত মৃতদের দাফনের কাজ চালিয়ে যায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সে সময় অসহায় জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করে তারা। সংগঠনটির সকল কর্মকান্ড দেখে তাদের অভিভাবকরা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং শুভাকাঙ্খীরাও যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। পরামর্শ দেন কিভাবে আরো বেশি ভালো কাজ করা যায়। সেই থেকে ছুটে চলা ‘জয়’ নামের সংগঠনটির।
বর্তমানে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীমূলক কাজের মধ্যে আরো যোগ হয়েছে কিভাবে নিজ উদ্যোগ পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার ব্যবস্থা করা, ট্রাফিক জ্যাম ক্লিয়ার করা এসব বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সিরিয়াস অসুস্থ রোগীর জন্য এম্বুলেন্স ব্যবস্থা, গরীবদের পড়াশোনার ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধীদের খাবারের ব্যবস্থা, বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, মাদকের বিরুদ্ধে জেগে উঠা, মাদকের ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে কাউন্সিলিং নিয়মিত করে তাদের সুস্থ করে কাজের ব্যবস্থা করা, বেশী বেশী করে পরিত্যক্ত জায়গায় গাছ লাগানো ও বিনা মূল্যে গাছের চারা বিতরণ। নিজ নিজ আঙিনায় ও ছাদে সবজি ও দেশী-বিদেশী ফল গাছ লাগানোর জন্য জনগণকে সচেতন আর উদ্বুদ্ধ করা।
সংগঠনটির উপদেষ্টা সমাজকর্মী মো. জহুরুল আলম জাবেদ এবং আলহাজ্ব লায়ন মো. খান আকতারুজ্জামান। সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে রয়েছে- সাগর, বিপ্লব, কিরন, মেহেদী, বাপ্পী, নূরআলম, সাব্বির, সুমন, জুনায়েদ, তারেক, রাজু, আমিনুল, তুহিন, কানন, জাহিদ, হোসেন, সমুদ্র, পিয়াল, শাহাদাত, মোয়াজ্জেম হোসেন অপু ও তানভীর।
সম্প্রতি ‘জয়’ এর কর্মকান্ড বেগবান করার লক্ষ্যে ছোট পরিসরে আলোচনা সভার মাধ্যমে সদস্যদের গলায় আইডি কার্ড গলায় পরিয়ে দেয়া হয়। বিশেষ করে সংগঠনের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে বিজয় মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।