আমার কাগজ প্রতিবেদক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে (সোশ্যাল মিডিয়া) ‘বিপদের কারবার’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বৃহস্পতিবার এক মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল হাসান, সোশ্যাল মিডিয়া এখন এক বিপদের কারবার। ঘরের ভেতরের বিষয়গুলো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে। এ নিয়ে কিছু বললেই আবার রাইট টু ফ্রিডম (স্বাধীনতার অধিকার) নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে দেশে প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকে ফেসবুক-টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এরপর বুধবার সেগুলো খুলে দেওয়া হয়।
এর একদিন পরই বিএনপিপন্থী ছয় আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানির এক পর্যায়ে এ মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে বিএনপির আইনজীবীদের আদালত অবমাননার আদেশের দিন পিছিয়ে আগামী ২২ আগস্ট পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আদালতে আজ বিএনপি নেতা ও আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
এর আগে গত ১২ জুন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির ছয় শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ছয় আইনজীবী তাদের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দাখিল করেন।
আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত ছিলেন সাত জন। তাদের মধ্যে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী গত ২ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বাকি ছয় আইনজীবী হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।
এছাড়া আরও রয়েছেন- সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল।