
ফজলুল হক, নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে খালে ময়লা ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় নামছেনা বন্যার পানি। সোনাইমুড়ী পৌরশহরের অভ্যান্তরে প্রবাহিত খালের বিভিন্ন পয়েন্টে দখল-দূষণ এবং ব্রিজের নিছে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করায় বন্যাপরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। খাল খননের উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী।
এদিকে অত্র অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার, ঔষধ, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য, গোখাদ্য পৌঁছেনি। কেউ মারা গেলে কবর দেওয়ার জন্য নেই কোনো উঁচু জায়গা, গুরুতর অসুস্থ্য রোগীর চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নারী ও বয়োবৃদ্ধারা।
সোনাইমুড়ী উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার অনেক গ্রাম এখনো পানির নিচে। পানিবন্দি অবস্থায় লাখো মানুষ।
পানিবন্দি মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা। যা চাহিদা মেটাতে পারছেনা।
এ উপজেলায় এখনও পানিবন্দি প্রায় ২ লাখ মানুষ। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঠেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। এ পর্যন্ত ২৫০ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে গাদাগাদি করে থাকছে নারী, শিশু, বয়স্কসহ অসুস্থ লোকজন। সেখানেও দেখা দিয়েছে খাবার, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
যারা অন্যজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা চক্ষু লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছেন না।
বন্যা কবলিত এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন বন্যার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ পাননি তারা।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ও উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্ররা।
সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসক ও নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা জানান সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে সেটি চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তিনি এলাকার বিত্তবানদের বন্যার্তদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি খালের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করে পানি নিষ্কাশনে জরুরী পদক্ষেপ নেয়ারও অনুরোধ জানান তারা।