বিনোদন ডেস্ক
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ইনফ্লুয়েন্সারদের ছড়াছড়ি। আর তা দেখে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা প্রভাবিত হয়। সেলিব্রিটি ও ইনফ্লুয়েন্সারদের মতো করেই তারা জীবন যাপন করতে চায়।
মিস ইউনিভার্স ও বলিউড অভিনেত্রী লারা দত্ত। ক্যারিয়ারে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা। আগের মত এখন আর তেমন ভাবে বড় পর্দায় দেখা মেলে না তার। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে মন্তব্য করতে দেখা যায়। এবার সেলিব্রিটি ও ইনফ্লুয়েন্সারদের জীবনযাপনের পিছনে লুকিয়ে থাকা বাস্তবতা নিয়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অভিনেত্রীর কথায় ‘এটা বাস্তবতা নয়’।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে লারা দত্ত বলেছেন, ‘আমি কেবল নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাই যে আপনারা যে গ্ল্যামারেস বিষয়টি দেখেন, তারকাদের প্রতিনিয়ত নতুন পোশাক বা নতুন নতুন জিনিস ব্যবহার করতে দেখেন তার বেশির ভাগের উপরই আমাদের নিজেদের মালিকানা থাকে না।’
তার কথায়, ‘প্রতিটি অনুষ্ঠানে, প্রতিটি অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে, বড় বড় বিয়ে বাড়িতে অভিনেতা-অভিনেত্রী যা যা পরে সেজে আসেন। তার বেশির ভাগটাই হয় ধার করা। ডিজাইনার পোশাক থেকে চুলের স্টাইল, মেকআপ, এর গয়না ৯৯ শতাংশই হয় ধার করা, এগুলো নিজের হয়না, সেদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে এগুলো সব ফিরে যায়।’
এরপর বলেন, ‘ শুধু মেয়েরাই নয়, ছেলেরাও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় এইসব দেখে প্রভাবিত হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম নিজেদের সত্তাকে ভুলে যাচ্ছে, অন্যের মতো হয়ে উঠতে চেষ্টা করছে।’
অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আর এই ব্যাপারটা যেন বিপ্লবের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। আর তা মোটেই ভালো কথা নয়। যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাদের কোনও খুঁত ধরা না পরে তার জন্য তারা প্রচুর ফিলটার ব্যবহার করছে। তবে আমাদের সন্তানদের আরও শক্তিশালী ও উন্নত করতে হবে। তারা কে এবং তাদের মূল্য কী? তা তাদের আরও ভালো করে বোঝাতে হবে।’