আমার কাগজ প্রতিবেদক
সিলেক্টিভ (বাছাইকৃত) সংস্কার নয়, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যেখানে ঐকমত্য হবে সেখানে সংস্কার করতে হবে। সিলেক্টিব কোনো ঐক্যমত্য হবে না। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐকমত্যে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয়ে ঐকমত্য সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৮০ দিন গতিমুখ ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজন করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
আমীর খসরু বলেন, গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছি। বাংলাদেশের নাগরিক মনোজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সবার মধ্যে আশা ও আঙ্খাকা জেগেছে। একটা ধ্বংসস্তূরপের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ করতে হবে। জাতীয় ঐক্যর মাধ্যমে সবাই সরকার সমর্থন দিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে ‘ভিশন ২০৩০’ তে বেগম খালেদা জিয়া সংস্কার কথা বলেছেন। বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছে। আলোচনা সভা, সেমিনার, লিফলেট বিতরণ করেছি। সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া। আজকের পেক্ষাপটে কি মৌলিক সংস্কার করবো, কিভাবে করবো সেই প্রশ্ন আসে। যেসব সংস্কার জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে সেইগুলো সংস্কার করতে পারে। যে সংস্কার জনগণ ঐকমত্য হবে না, সব রাজনৈতিক দল একমত হবে না সেগুলো পরবর্তী সরকারের জন্য রেখে দিতে হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, গত ১৬ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি বলেই শেখ হাসিনার মতো দানবীয় শক্তির উত্থান হয়েছে। জনগণের মালিকানা প্রধান বাহক হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে তার পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। জনগণের সবচেয়ে বড় ঐক্য জনগণ ভোট দিত চায়। বিগত সময়ে ৩৫ বছরের নিচে কেউ ভোট দিতে পারেনি।
আমীর খসরু বলেন, সংস্কার জন্য ১০ টা কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে নতুন নতুন দাবি উপস্থাপন করছে। তাদের দাবির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার বা কমিশনের দাবি এক কিনা, তা আমরা জানি না। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এই দাবিগুলো সংস্কারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদূর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন প্রমুখ।