
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
আর কয়দিন পরেই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটে আনা হয়েছে প্রচুর গরু। তবে ক্রেতা কম থাকায় লোকসানের শঙ্কার কথো জানিয়েছেন ক্রেতারা। সেই গত দুদিনের তুলনায় গরুর দামও কম বলে জানিয়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের কালিয়া কান্দাপাড়া, শালুয়াভিটা, রতনকান্দি, চান্দাইকোনা, তালগাছি, সোহাগপুর, পোড়াবাড়ি, সমেশপুর, কামারখন্দ, বলরামপুর, তাড়াশ ও কাজিপুরে প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানি পশুর হাট বসেছে। শুরুর দিকে এসব হাটে জমে ওঠে বেচাকেনা। তবে মাঝপথে বৈরি আবহাওয়ার কারণে কোরবানের আগ মূহুর্তে কমেছে বেচাকেনা। মূলত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যাপারীরা সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট থেকে পাইকারি দামে গরু কিনতে আসেন। একইভাবে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলের গরুও কেনাবেচার জন্য তোলা হয় কোরবানি পশুর হাটে।
তালগাছি হাটে ১৮ টি গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা আব্দুল হালিম জানায়, আমি যে গরুগুলো নিয়ে এসেছি, সেগুলো নিজস্ব খামারের নয়। গ্রামের বিভিন্ন খামারিদের কাছ থেকে এগুলো সংগ্রহ করেছি। কিন্তু শেষ মূহুর্তে দাম কমাল বলছেন ক্রেতারা। এবার হয়তো লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালিয়া কান্দাপাড়া হাট ইজারাদার আকতার মন্ডল জানান, কোরবানি পশু হাটগুলোতে প্রশাসনের পক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগের বারের তুলনায় এবারের বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসা গরু-ছাগলের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু ক্রোতা কম থাকায় বিক্রি কম হচ্ছে। তাছাড়াও বৈরি আবহাওয়ার কারণেও বেচাবিক্রি কম। সঙ্গে পশুও অসুস্থ হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কে এম আনোয়ারুল হক জানান, হাটগুলোতে পশুর সুস্থতা যাচাইয়ের জন্য প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। জাল টাকা পরীক্ষার জন্য ব্যাংক প্রতিনিধি নিয়োজিত রয়েছেন