ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে প্রশাসন ব্যর্থ হওয়ায়। তবে দেশের সবখানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হয়নি। আমি মনে করি যেসব এলাকার অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে সে সব এলাকায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া যায়। বর্তমানে অনেক জেলার অবস্থা ভালো, রাজনৈতিক নেতারা অনেক কিছু দেখভাল করছেন। তাই সব এলাকায় সেনাবাহিনীকে দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী অন্তর্বর্তী সরকার সব জঞ্জাল দূর করে দেশে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যেখানে সুষ্ঠু উপায়ে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা যেন সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিক মানে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই, পার্লামেন্ট দেখতে পাই। আমি জানি আমার কথাগুলো অনেকের মনঃপূত নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই আমি এই কথাগুলো উচ্চারণ করছি।’ রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক কাজ করতে দেওয়া, এটাই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে তিনি মত দেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ৪ জনের পরিবার এবং আহত ৪৩ জনের হাতে মোট ১৫ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ চাকরির ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, আর যেন কোনো শিশুকে গুলি খেয়ে না মরতে হয়। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আব্দুল হান্নান হান্নু, প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদ প্রমুখ।